ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি

ঢাকা: সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি নিয়োগের তারিখ থেকে স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছে ‘সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন’ নামে একটি সংগঠন। একইসঙ্গে চাকরি স্থায়ী করার আগ পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতার দাবিও জানায় সংগঠনটি।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ দুটি দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রায় ৩৩২টি সরকারি কলেজ ও তিনটি মাদ্রাসায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বেসরকারি কর্মচারীরা অধ্যক্ষের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১০ থেকে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত। তাদের মাসিক বেতন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই অল্প বেতন দিয়ে জীবন-যাপন করা কষ্টের।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ২০১৩ ও ২০২০ সালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট মামলার নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি কর্মচারীদের অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানেনি।

তারা আরও বলেন, সরকারি কলেজগুলোয় মাত্র ৫ শতাংশ কর্মচারী সরকারিভাবে এবং ৯৫ শতাংশ কর্মচারী বেসরকারিভাবে কর্মরত আছে। তাই বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি স্থায়ী করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও চাকরি স্থায়ী করা আগে পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মজিদ, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, ঢাকা মহানগরের সভাপতি আলী মর্তুজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।