পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের অধীন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় তা স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্তে শনিবার ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৯ সেপ্টেম্বর। উত্তরপত্র মুল্যায়ন করে ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়। এ সময় তালিকায় নাম না থাকায় কতিপয়ু ক্ষুব্ধ প্রার্থী পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ও অফিসের কাচ ভাঙচুর করে এবং আসবাবপত্রের তি করে। তারা লিখিত পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এ অবস্থায় পরদিন সোমবারের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দু’জন আওয়ামী লীগ নেতার দু’টি সুপারিশকৃত তালিকা সিভিল সার্জনকে দেওয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণা না করার জন্য নেতাদের উস্কানিতে অংগ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন পরীক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তবে এর সত্যতা কেউ স্বীকার করেনি।
এ ঘটনায় সিভিল সার্জন থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়, কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সিভিল সার্জন অফিসের দু’জন কর্মকর্তা পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য কিছু পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ লাখ করে টাকা নিয়েছেন। পাসের তালিকায় নাম না দেখে ওই পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালাতে পারেন।
নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ইমার উদ্দিন কায়েস মৌখিক পরীক্ষা আবার স্থগিত হয়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফ্যাক্স বার্তায় পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেউ টাকা নিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কারও কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, গোলযোগের আশঙ্কায় মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০