চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপজেলার পার্কি সমুদ্র সৈকতকে এক্সকুসিভ ট্যুরিস্ট জোন (ইটিজেড) হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বিশেষ কমিটি।
ইটিজেড জন্য জমি নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য রোববার পার্কি এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে যাচ্ছেন কমিটির সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে বিশেষ কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রামের পর্যটন মোটেল সৈকতের ইউনিট ব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান বাংলানিউউজকে বলেন, পার্কি সমুদ্র সৈকত পর্যটনের জন্য আকষর্ণীয় স্থান হলেও সেখানে কোনো অবকাঠামেগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠেনি। তাই পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে পার্কি সমুদ্র সৈকতে ইটিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্র্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ধোধন করতে এসে পটিয়ায় এক জনসভায় পার্কি সমুদ্র সৈকতে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
এর আগে ১১ আগস্ট বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) পর্যালোচনা সভায় চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও আনোয়ারার পার্কি সমুদ্র সৈকতসহ দেশের আকর্ষনীয় পাঁচটি স্থানে এক্সকুসিভ ট্যুরিস্ট জোন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে জমি নির্বাচনের জন্য পাঁচটি কমিটিও গঠিত হয়।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর পার্কি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় করেন। মূলত সিইউএফএল’র মাঝের চর থেকে পড়–য়াপাড়ার বাতিঘর পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় স্থানীয় পর্যটকদের সমাগম দেখা যায়।
সৈকতের তীর ঘেঁষে ভাসমান কিছু দোকান ও ডিঙ্গি নৌকায় ভ্রমণ করা ছাড়া পার্কিতে পর্যটক আকর্ষনের কোনো সুযোগ-সুবিধা ওঠেনি। ফলে ভ্রমণ পিয়াসীদের হতাশ হতে হয়। বন বিভাগের উদ্যোগে সৈকতের কিছু অংশে ঝাউবন লাগানো হলেও তদারকির অভাবে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের আশা, মাঝেরচর থেকে রায়পুরের বারোআউলিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমটার দীর্ঘ পার্কি সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন করা হলে এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০