সাভার: শীতলক্ষ্যা নদী দূষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই অভিযোগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে একটি পোল্ট্রি খামারের।
চলমান পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জেলার সোনারগাঁও, কাঁচপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে পৃথক পৃথক অভিযান চালানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিমের সহায়তায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।
অভিযানে কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর ফ্যালকন টেক্সটাইল লি. এবং সিদ্ধিরগঞ্জের এম্পায়ার ডাইং লি. থেকে অপরিশোধিত ও দূষিত তরল বর্জ্য ফেলে নদীদূষণের প্রমাণ পান অভিযানকারী দলের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ বৃহৎ প্রতিষ্ঠান দু’টির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। দু’টি প্রতিষ্ঠানই বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট (ইটিপি) নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রেখে উৎপাদনকাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। এদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার ঘনমিটার দূষিত বর্জ্য নির্গমনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠান দু’টিকে এর আগে সতর্ক করা হলেও তারা বর্জ্য ফেলে শীতলক্ষ্যা দূষণ করে আসছিল। এ কারণে এম্পায়ার ডাইং লি.-কে ৩৩ লাখ টাকা এবং ফ্যালকন টেক্স লি.কে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শিগগিরই ইটিপি নির্মাণ করে দু’টি প্রতিষ্ঠানকেই নদীদূষণ বন্ধের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে উৎপাদন বন্ধসহ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে সর্তক করা হয়েছে।
এদিকে, সোনারগাঁও উপজেলার নয়াবাড়ির আবাসিক এলাকাসংলগ্ন প্রায় ১ বিঘা জমিতে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও পরিবেশ দূষণের অপরাধে ইমাম পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সেইসঙ্গে খামারটি শিগগিরই অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০