ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১৬ টাকার ইনজেকশন কিনতে হলো ৮০০ টাকায়!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
১৬ টাকার ইনজেকশন কিনতে হলো ৮০০ টাকায়!

ঠাকুরগাঁও: হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে জন্মের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে অসুস্থ হয়ে পড়ে নবজাতক।  

হাসপাতালে বারবিট নামে ইনজেকশন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেন চিকিৎসক।

 

হাসপাতালের বিপরীতে থাকা আখানগর ফার্মেসিতে পাওয়া গেল কাঙিক্ষত ইনজেকশ।  কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, মাত্র ১৬ টাকার ইনসেপ্টা কোম্পানির বারবিট ইনজেকশনটি সেই ফার্মেসির বিক্রেতা চাইলেন ১ হাজার টাকা।  

আশপাশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে হন্যে হয়ে ঘুরে লাভ হয়নি। কোথাও নেই সেই ইনজেকশন। উপায় না পেয়ে অবশেষে সেই আখানগর ফার্মেসি থেকেই দর কষাকষি করে ৮০০ টাকায় কিনতে হয়ে ১৬ টাকা মূল্যের সেই ওষুধ।  

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বোনের নবজাতককে বাঁচাতে এভাবেই পকেট ফাঁকা হলো লিটন আহমেদের।  

বিপদে পড়ে ১৬ টাকার ইনজেকশন ৮০০ টাকায় কিনতে হয় তাকে। লিটন আহমেদের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কাস্তোর গ্রামে।  

এ ভুক্তভোগী বলেন, আমি সবগুলা ফার্মেসি খুঁজেও ইনজেকশনটি পাইনি। পরে আখানগর ফার্মেসি থেকে দিতে চাইল। আমি দাম জানতে চাইলে তিনি ১ হাজার টাকা চান। অথচ সেটির দাম হলো ১৬ টাকা। আমি এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দাম কমানোর অনেক অনুরোধ করলাম কিন্তু তিনি বললেন, সম্ভব নয়। পরে আরও অনুরোধ করার পর ৮০০ টাকা দিয়ে আমাকে ইনজেকশনটা নিতে হল।

লিটন আহমেদ বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে কিনতে বাধ্য হয়েছি৷ তাদের কাছে রশিদ চেয়েছিলাম তারা দেননি। এভাবে যদি এতো দাম নেওয়া হয় তাহলে তো আর কিছু করার থাকে না৷ আমি চাই যারা এতো দাম নেয় তাদের যাতে আইনের আওতায় আনা হয়৷ সেই সঙ্গে আমাদের মতো গরিবদের যাতে নিস্ব না করে দেওয়া হয়৷ 

শুরুতে বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে আখানগর ফার্মেসির মালিক খাদেমুল ইসলাম বলেন, কোম্পানি কোনো সরবরাহ দিতে পারছে না। সে কারণে এটির দাম বেশি। আমাদের কেনা বেশি সে কারণে লাভ রেখে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে।  

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, এই ইনজেকশনটি সরবরাহ মিলছে না৷ তবে এত দাম নেওয়া ঠিক করেনি৷ সেটির বাজার মূল্য ১৬ টাকা। এর সংকট হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।  

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী বলেন, এটি ভোক্তা অধিকার আইনের বহিভূত কাজ। এ ঘটনায় কোনো ভোক্তা অভিযোগ করলে আমরা শুনানি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ভোক্তাদের স্বার্থে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।