ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে রাজি না হওয়ায় বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে প্রায় ৪৫ জন ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার নেতাদের দাবি তাদের ছাত্রশিবির সদস্য হওয়ার কারণে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরা উপলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। হলের আসন সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে ছাত্ররা বিরত থাকে বলে ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানিয়েছে। হল সভাপতি রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গেস্ট রুমে ছাত্রদের ডেকে এর কৈফিয়ত চান। এসময় ছাত্ররা তাদের আসন সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের কোন ধরনের অনুষ্ঠানে যাবে না বলে জানায়। এতে সভাপতি মুন্না উত্তেজিত হয়ে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রায় ৪৫জন ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেছে ছাত্ররা।
ঘটনার পর হল শাখার সভাপতি সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতারা মূল ভবন ও বর্ধিত ভবন পাহারা দিচ্ছে এবং হল ছেড়ে দেওয়া ছাত্ররা কার্জন হলের সামনে অপো করছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে হল প্রোভোস্ট ড. আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব। ’
এরপর ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনায় প্রক্টর কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনিও ব্যস্ত আছি বলে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
ঘটনার তিন ঘন্টা পর প্রোক্টরিয়াল দলের সদস্যরা শহীদুল্লাহ হলে আসেন। এসময় সদস্যরা ছাত্রদের হলে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু ছাত্ররা তাদের সমস্যার সমাধান ও কমন রুম থেকে আলাদা রুমে সিটের ব্যবস্থা না করলে হলে ফিরবে না বলে জানায়।
এ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্র শিবিরের অভিযোগ থাকায় শিবিরকর্মী নামধারী ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ’
ছাত্ররা বাংলা নিউজকে জানায়, ‘সংবর্ধনায় না যাওয়াই আমাদের অপরাধ। ’
ছাত্ররা আরো জানায়, ‘আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে বলা হচ্ছে, যারা সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
উল্লেখ্য, হল থেকে বের করে দেওয়া সব ছাত্রই হলের ১১০২ ও ১১১২ রুমে থাকতো। এদের মধ্যে মাইক্রোবায়োলজি ও বোটানী বিভাগের পাঁচ জন ছাত্রের আগামী কাল পরীক্ষাও রয়েছে বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০