ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জনগণের মন জয় করেই আ.লীগ ভোট পাচ্ছে: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
জনগণের মন জয় করেই আ.লীগ ভোট পাচ্ছে: শেখ হাসিনা

ঢাকা: বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট পাওয়ার কথা তুলে ধরে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।




সোমবার এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ১৯৯৪ সালে যুবলীগ নেতা সিরাজ হত্যার প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণের জন্য ঠিক একই স্থানে নৌকাযোগে গিয়েছিলেন তিনি।

পাতালরেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষ সমবেত হন। নির্ধারিত প্যান্ডেলের বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষ অবস্থান করেন। অনেকটা জনসভায় রূপ নেয় সুধী সমাবেশটি।

সমাবেশে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে এত বছর কাজ করলাম, মানুষের উপকার করলাম, যার ফলে মানুষ আমাদের ভোট দিচ্ছে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পাচ্ছি। আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ যে নির্বাচন (বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচন) হয়ে গেল সেখানে নৌকা মার্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ প্রার্থী ছিল আর বগুড়ায় ১ প্রার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ে দিয়েছিলাম মেনন সাহেবকে, সেখানে জাতীয় পার্টি জিতেছে। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। বগুড়ার কাহালু নন্দীগ্রামেও আমরা জাসদকে দিয়েছিলাম। জাসদও সেখানে জয়লাভ করেছে আর সদরে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। নৌকা আজকে বগুড়ায় জয়লাভ করেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও জয়লাভ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমি মনে করি, আমাদের যে প্রতিশ্রুতি আমরা একে একে তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২১ এর মধ্যে রূপকল্প ২১ বাস্তবায়ন করবো; সেটা বাস্তবায়ন করেছি আর ২০১৮-এর নির্বাচনী ইশতেহার সেটা আজকে আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ওই ইশতেহারে ছিল ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করবো। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে, আমরা সেই কথা রেখেছি।

আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে, দেশের মানুষের উন্নতি হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সারা দেশে ১০০ সেতু, ১০০ রাস্তা নির্মাণ; এটা বোধ হয় কখনো কেউ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে।



তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪-তে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে, ২০০৮-এ ভোট দিয়েছে। ২০০৮-এর নির্বাচনটা যদি ধরেন, সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল কিন্তু কয়টা সিট পেয়েছিল? ৩০০ সিটের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট অধিকাংশ সিট পায়। বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ২৯টি সিট, আর একটি পরে উপনির্বাচনে এসেছিল। মাত্র ৩০টি সিট ২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট পেয়েছিল।

সুধী সমাবেশ শুরুর আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জে পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক।

পাতালরেলের এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত পুরো অংশ নির্মিত হবে ভূগর্ভে। তবে পীতলগঞ্জ থেকে কমলাপুর-বিমানবন্দর মেট্রোরেল রুটের সঙ্গে যুক্ত অংশটি হবে এলিভেটেড। এটিই দেশের মেট্রো রেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। এ পথে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
যানজটের শহরে এলো স্বপ্নের মেট্রোরেল
বিমানবন্দর থেকে পাতাল রেলে ২৪ মিনিটে কমলাপুর 
দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন


বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।