ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে: নসরুল হামিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে: নসরুল হামিদ

ঢাকা: বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ খাতে পড়েছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।  সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। কৃষি ক্ষেত্র এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, কারণ সেচের মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সেজন্য আমার জেলা প্রশাসকদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। এর জন্য সমন্বিত পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণে আমাদের কিছু প্রায়োরিটি আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার, সেই ক্ষেত্রে সেচ একটা বড় প্রায়োরিটি। এছাড়া আমাদের শিল্প কারখানাগুলো, কৃষি সার কারখানা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে উৎপাদনও বাড়ানো হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, কৃষকেরা সেচের সময় পিক ও অফ পিক আওয়ার মেনে চললে ভালো ফল পাওয়া যাবে। পিডিবি’র চাহিদা মতো প্রাকৃতিক গ্যাস এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় তিনি বিপিসিকে চাহিদার অতিরিক্ত ফার্নেস অয়েল কেনার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল ২০২২ মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট। চলতি সেচ মৌসুমে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৬টি, যার জন্য বিদ্যুৎ লাগবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম দুই মাসের উৎপাদন সক্ষমতা রাখার জন্য জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিত করা, সেচ মৌসুমে জরুরি সময়ে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কোম্পানিসমূহ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নির্ধারণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইভ মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা, সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন এবং গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।