ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জুন ২০২৪, ০৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ-নেপালের জনগণের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
বাংলাদেশ-নেপালের জনগণের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম, বর্ণ ও কৃষ্টির মানুষ বসবাস করে। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশেও নানা ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।

বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ভারত, নেপাল ও ভুটান একইসূত্রে গাঁথা। ঐতিহাসিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আজকের এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন।  

প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিভাবকদের শুধু চিত্রাঙ্কন নয়, সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায়ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহণ ও চর্চা করানোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।  

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর হচ্ছে।  

ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, এ প্রতিযোগিতা আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে। তিনি এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
টিএ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।