ময়মনসিংহ : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজ ছিল কর্মবিরতির ষষ্ঠ দিন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আজ শনিবার পর্যন্ত মোট ৭৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা অভিযোগ করেছেন, ইন্টার্নদের কর্মবিরতির কারণে সুষ্ঠু চিকিৎসার অভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বহু রোগী হাসপাতাল ছেড়ে বিভিন্ন বেসরকারী কিনিক ও ঢাকায় চলে যাচ্ছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মংটেন উইন জানান, চাকুরীরত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন গৌরীপুর উপজেলার নাছিমা খাতুনকে (৪৫) হাসপাতালের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাতের কারণে রক্তরণের দরুন হাসপাতালের কর্মচারী জমাদার নারায়ণ চন্দ্র দাস ৭নং ওয়ার্ডে গিয়ে ইন্টার্ন ডাঃ আরিফকে রোগীকে দেখার অনুরোধ করেন। চিকিৎসক আরিফ রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসতে বলেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও ভাংচুুর চলে। ওই রাত থেকেই ইন্টার্নরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে।
ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এম এ গফুর মিয়া জানান, রোগীর তুলনায় ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে, ইন্টার্নদের কর্মবিরতির প্রেেিত কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিএমএ ময়মনসিংহ জেলা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মতিউর রহমান ভূইয়া জানিয়েছেন, দোষী ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুর ২টায় ইন্টার্নদের কাজে যোগদান করার কথা। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টার্নরা কাজে যোগ দেননি।
৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবুল বাশার জানান, নারায়ণ চন্দ্র দাসকে লাঞ্ছিতকারী ডাঃ আরিফের রেজিষ্ট্রেশন বাতিলসহ তার বিচারের দাবীতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সমন্বয়ে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
আন্দোলনরত ইন্টার্নদের পক্ষে ডা: রাসেল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে বলেছেন, তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বিচার দাবি করেছেন। দাবি মেনে নেওয়া হলেই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১৩০ ঘণ্টা, ২৬ জুন ২০১০
প্রতিনিধি/এএইচএস