নিউইয়র্ক:বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও এ পদ্ধতি বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিজস্ব কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তত্ত্বাবধায়ক র সরকারের দুই বছরের শাসনামলের তিক্ত অভিজ্ঞতায় সবাই বিরক্ত। তবে এ সরকার-পদ্ধতি পরিবর্তনের চিন্তা আমাদের নেই। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের দুটি যুগান্তকারী রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত সংসদীয় কমিটির কেয়ারটেকার পদ্ধতি সম্পর্কে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে। ’
তবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ীই সবকিছু করা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে জরুরি আইনে আটক সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মামলা দায়েরে কৌশলগত সমস্যা থাকায় আদালতের নির্দেশেই তারা মুক্তি পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। ’
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি কোনো প্রতীকী বিচার নয়। কারণ তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে। ’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার মতো ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া বলে জানান তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কয়েক দশক সময় লেগেছিল।
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে পুনর্বাসনে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করায় যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল, তিনি (জিয়া) সামাজিকভাবে তাদের পুনর্বাসন করেছেন। যদিও তিনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ’
এর আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, সংসদীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি একে আবদুল মোমেন এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১০