ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চারশ কেজির শাপলা পাতা মাছ মিললো ফেনী নদীতে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
চারশ কেজির শাপলা পাতা মাছ মিললো ফেনী নদীতে 

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে এবার জেলেদের জালে প্রায় চারশ কেজি (১০ মণ) ওজনের বিশাল আকারের একটি ‘শাপলা পাতা’ মাছ ধরা পড়েছে।  

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার চর খোন্দকার জেলেপাড়া এলাকার জেলে হিরেন্দ্র জল দাসের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

 

পরে মাছটিকে নদীর তীরে ঘাটে নিয়ে আসলে হরি সংকর নামে এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকা মণ দরে মোট ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।  

মৎস্যজীবী হিরেন্দ্র জল দাস বলেন, মঙ্গলবার সকালে তিনি তিনজন সহকারী নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে গিয়ে বড় ফেনী নদীর শেষ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলে বসে থাকেন।  

দুপুরের পর জালটি টেনে তোলার সময় ভারী লাগে। নৌকায় থাকা তারা চারজন মিলেও জাল টেনে তুলতে পারছিলেন না। পরে আশপাশের নৌকা থেকে আরও চার-পাঁচজনকে ডেকে এনে জালটি নৌকায় তোলেন। তখন দেখতে পান, তাদের জালে ধরা পড়েছে ‘শাপলা পাতা’ মাছ।  

তারা ১০ জন মিলে মাছটিকে নৌকায় করে বিকেলে নদীর তীরে স্থানীয় আড়তে নিয়ে আসেন। তবে শাপলা পাতার সঙ্গে অন্যান্য ৩০ কেজি মাছও ধরা পড়েছে।

হিরেন্দ্র জলদাসের ভাষ্যমতে, বিক্রির জন্য মাছটি তারা অনেক কষ্ট করে নৌকায় তুলে চর খোন্দাকার জেলেপাড়াসংলগ্ন মাছের আড়তে নিয়ে আসেন। সেখানে ওজন দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অন্যত্র নিয়ে যান। ওজন দিয়ে দেখেন, মাছটির ওজন প্রায় ৪০০ কেজি। সে হিসাবে শাপলা পাতা মাছটির ওজন হয়েছে ১০ মণ। প্রতিমণ ৮ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়েছে।  

এ বিষয়ে কথা হয় সোনাগাজী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা তূর্য সাহার সঙ্গে। তিনি জানান, আমি শুনেছি বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে, তবে দেখা হয়নি এখনও। তিনি জানান, শাপলা পাতা মাছ সাগরের গভীরে বিচরণ করলেও বংশ বিস্তারের সময় মাছগুলো তীরের কাছাকাছি আসে। আর আটকে পড়ে জেলেদের জালে।

জানা যায়, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু এ ব্যাপারে এ মৎস কর্মকর্তা কিছুই জানাতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ 
এসএইচডি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।