ঢাকা : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান মিজান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ২ সদস্যের একটি দল সোমবার সকালে আকস্মিক পরিদর্শনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে তিনি তার অসন্তোষের কথা জানান।
কমিশন চেয়ারম্যান সেখানে ২ ঘণ্টা অবস্থান করে রোগীদের কাছ থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও হয়রানির অভিযোগ শোনেন। পরে তারা হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর ঘুরে দেখেন।
ঢামেক হাসপাতাল পরিদর্শনকালে বিভিন্ন রোগী তাদের কাছে অভিযোগ করেন যে, ডাক্তাররা তাদের সেবাদানে অবহেলা করেন। হাসপাতালের বেড নিয়ে ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের বাণিজ্য, এমনকী রোগীর সমস্যার কথা না শুনে ডাক্তারদের কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার মতো অভিযাগ বিষয়ে কমিশন সদস্যরা অবগত হন।
রাজধানীর পল্লবীর দুয়ারীপাড়া থেকে আসা বেবী আক্তার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গাইনি বিভাগের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. মুক্তি রানী তাকে না দেখে, তার সমস্যার কথা না শুনেই তাকে কক্ষ হতে তাড়িয়ে দেন। এর আগে রোববার তিনি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করেন। তারপরও ডাক্তারের দেখা না পেয়ে তিনি বাসায় চলে যান বলে অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগ শুনে ‘হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো হলেও হাসপাতালে সেবার মান ভালো নয়’ বলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তাররা রোগীদের খোঁজখবর খুব একটা রাখেন না বলে মনে হয়। এছাড়াও হাসপাতালে ওষুধ পাওয়া যায় না। এমনকী গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মেঝেতে ফেলে রাখা হয় এমন অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে। ’
তবে নির্ধারিত ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন ।
এ সময় ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহীদুল হক মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০।