ঢাকা: কলকাতার দক্ষিণে সমুদ্র উপকূলবর্তী ডায়মন্ড হারবারে শুক্রবার দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক জাহাজটিতে বাংলাদেশে কোনো অস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক বোঝাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাহাজটিতে ২৮ টন উচ্চমতার বিস্ফোরকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার জানায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ডায়মন্ড হারবারে যায়।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’র কলকাতা প্রতিনিধি রক্তিম দাশ জানান, আগামীকাল রোববার জাহাজটি কলকাতায় আনা হচ্ছে।
আজ বিকালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি ভূপিন্দর সিং কলকাতার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘জাহাজটিকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। জাহাজটির ক্যাপটেন ও মেজর পদমর্যাদার দুই অফিসারকে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আজ নদীতে নাব্যতা না থাকার কারণে কাল জাহাজটিকে আনা হবে। ’
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এই দুজনের আচরণ সন্দেহজনক। এদের গতরাত রাত থেকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ক্যাাপটেনকে একটা পর্যায়ে রায়চকের র্যাডিসন ফোর্ট হোটেলে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়।
রাজ্য পুলিশের আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ বলেছেন,‘ নাবিকদের কাছ থেকে যে সব কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে জাহাজটিতে জৈব সার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ’
অস্ত্র বোঝাই জাহাজটি ভারত সরকারের কাছে কোন অনুমতিই নেয়নি জানিয়ে সুরজিৎ কর বলেন, জাহাজটির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি গোষ্ঠির যোগাযোগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ’
এদিকে, ভারতে জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে বোঝাই হয়নি বলে দাবি করেছেন বন্দরের সচিব সৈয়দ মো.ফরহাদউদ্দিন।
শনিবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন, ‘ইউএন মিশনের এই জাহাজটি তাদের পরিত্যক্ত কিছু মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের জন্য এসেছিল। সেগুলো খালাস করে খালি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। বন্দর সীমানার মধ্যে থাকা অবস্থায় ওই জাহাজে কোন মালামাল বোঝাই হয়নি। ’
বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জাহাজটিকে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বন্দরের বাইরে গিয়ে ওই জাহাজে যদি কোনোকিছু বোঝাই হয় সেটা দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১০
আরডি/আরডিজি/কেএল