ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় ৩ দিনের পিঠা উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
বরগুনায় ৩ দিনের পিঠা উৎসব

বরগুনা: গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে বরগুনার মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সের মাঠে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলা ও পিঠা উৎসব।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল পাঁচটার দিকে কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার এর উদ্যোগে ১৭, ১৮ ও ১৯ এই তিনদিন ধরে চলবে এ মেলা।

আয়োজকরা জানান, শনিবার শুরু হয়ে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। তিন দিনের এই মেলায় কমপ্লেক্সের মাঠে ৩০টি স্টলে গ্রাম বাংলার বাহারি রকমের পিঠা বিক্রয় হবে স্বল্প মূল্যে।

স্টল গুলোতে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে কুলি পিঠা, মোরগ পিঠা, পাটি সাপটা, সুজি পুলি নারকোল, দুধ পাটিসাপটা, ঝাল ভাপা, গোলাপ পিঠা, তাল মিঠা, বিস্কুট পিঠা, নারিকেল নারুভাপা। এছাড়া ভাপা, পাকাল, পুলি, পাটিসাপটা, চিতই, দুধপিঠা, নারকেলপুলি, তেলভাজা, রসফুল, কলাপিঠা, ফুল পিঠা, রসের পিঠা, নকসি পিঠা, ক্ষীরপুলি, সন্দেশ পিঠা, হারি পিঠা, মালাই পিঠা, নকশিসহ নানা রকমের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। মেলা চলাকালীন দর্শকদের আনন্দ দিতে থাকবে বাঙালি নৃত্য।  

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির বলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এমন আয়োজন করবে এটাই আমাদের কাম্য। অনেক সংগঠন নানান জটিলতায় অনুষ্ঠান করছে না। আগামী বছরের দুর্বারের এমন আয়োজনে আমরা পাশে থাকবো। যাতে বড় পরিসরে পৌষ মেলা ও পিঠা উৎসব আয়োজন করা যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও দুর্বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, মোবাইল ফোনের দাপটে দেশীয় সংস্কৃতি আজ টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বারের এমন আয়োজনে আমরা চমকে গেছি। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া নানান পিঠা স্টল গুলোতে বিক্রি হচ্ছে, এ সব পিঠার সাথে নতুন প্রজন্ম পরিচিত নয়। পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন আয়োজন প্রতি বছর দুরবারের কাছে আশা করছি আমরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্বারের সহ-সভাপতি ফসল পাটোয়ারী।  

তিনি বলেন, পৌষ হল কৃষকদের স্বপ্ন পূরণের মাস। পৌষ হলো কৃষকদের গোলায় নতুন ধান উঠার মাস। পৌষ মানে কৃষক পরিবারের আনন্দ উল্লাস। সেই কৃষকদের মূল্যায়িত করতে আমাদের এই আয়োজন। পাশাপাশি আমাদের পিঠা উৎসবের কারণ হলো গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠেগুলোকে নতুন প্রজন্মের মাঝে পরিচিত করা।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, বরগুনা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু জাফর সালেহ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।