ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাত্র ৫ টাকায় চিকিৎসা মেলে যেখানে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
মাত্র ৫ টাকায় চিকিৎসা মেলে যেখানে

নীলফামারী: মাত্র ৫ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন রোগীরা। নিবিঢ় পরিচর্যার পাশাপাশি দেওয়া হয় পুনর্বাসন।

এই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন নীলফামারীর কুষ্ঠ হাসাপাতালের রোগীরা। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের রোগীরা।

প্রচলিত প্রবাদ অনুযায়ী, আগের দিনে এই কুষ্ঠ রোগ হলে আলাদা করে দেওয়া হতো রোগীকে। কারো সঙ্গে মিশতে দেওয়া হতো না। সেই কুসংস্কার দূর করেছে নীলফামারীর নটখানায় অবস্থিত কুষ্ঠ হাসপাতাল।  

নীলফামারী শহর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরে নটখানা নামে এক নির্জন জায়গায় ১৯৬৫ সালে ৫২ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় কুষ্ঠ হাসপাতাল। প্রায় ৫৭ বছর আগে গড়ে ওঠা এই হাসপাতালে এখনো মিলছে সুলভ চিকিৎসা সেবা। এখানে মাত্র পাঁচ টাকায় দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা।

ঘনবসতিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই মূলত এই রোগ ছড়ায়। আমাদের দেশে রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বগুড়া ও ঢাকা জেলায় কুষ্ঠ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। প্রায় ১২০ উপজেলায় এর বিস্তার আছে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. শাহিনা আকতার বলেন, কুসংস্কারই কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধে মূল প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। সময় মতো ও সঠিক চিকিৎসা নিলে এটি পুরোপুরি দূর হতে পারে। এই নিরাময়যোগ্য রোগ সম্পর্কে প্রচলিত কুসংস্কারগুলোর একটি হচ্ছে ‘পাপিষ্ঠ ব্যক্তি বা তাদের বংশধররাই’-এ রোগে আক্রান্ত হয়।  

তিনি আরও বলেন, আসলে ‘মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি’ নামে একটি জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী। এই হাসপাতালে আমরা ৫ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। লক্ষ্য অর্জনে নীলফামারীতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন আমাদের কর্মীরা। কোনো ব্যক্তির দেহে কুষ্ঠ রোগ শনাক্ত হলে সবাইকে সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করতে হবে এবং তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেজন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি খুবই জরুরি। পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্যদেরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।