ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানুষকে ভালোবেসে সেবা দিতে হবে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
মানুষকে ভালোবেসে সেবা দিতে হবে: মেয়র আতিক

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পড়ালেখা শেষ করে সাদা অ্যাপ্রোন পড়েই ডাক্তাররা মানবসেবার জগতে প্রবেশ করেন। মানবসেবাই পরম ধর্ম।

ডাক্তার হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তার হয়। মানুষকে ভালোবেসে সুন্দর ব্যবহার করে সেবা দিতে হবে। রোগীকে মানসিক প্রশান্তি দিতে হবে। রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ পাঠ শেষে ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, উন্নত দেশে যেমন উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়, আমরা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের দেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। অল্প খরচে গুণগত চিকিৎসা প্রদান করাই লক্ষ্য হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অনেক ডাক্তার নিয়েোগ দিয়েছেন। আপনারাও ভালো ডাক্তার হবেন। দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক হাসপাতালে টেস্ট বাণিজ্যের কথা শুনে থাকি। চিকিৎসকদের টেস্ট বাণিজ্য নয়, প্রকৃত সেবাদান করতে হবে। একজন রোগীকে সেবার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। একই রিপোর্ট বার বার করা বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হবে। তবে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করতে হবে।

মেয়র বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রান্তিক জনগণের পরিশ্রম ও অবদানের ফলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে তাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল স্বল্প খরচে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা  দিচ্ছে জেনে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি নগর পিতা নই বরং আমি নিজেও একজন সেবক। নগর সেবক হিসেবে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির সময়ে  মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসির মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করি। মার্কেট থেকে আমরা ২শ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারতাম। টাকার দিকে না তাকিয়ে মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেই। আমরা এক হাজার বেড সম্পন্ন হাসপাতালটি নির্মাণ করি। এখানে ২১২টি আইসিইউ বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। আমরা এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।