ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাবেক শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার আবেদন করবে তদন্ত সংস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
সাবেক শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার আবেদন করবে তদন্ত সংস্থা

ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তাকে গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করবে তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মো. সানাউল হক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মো.সানাউল হক বলেন, তার (ড. ওসমান ফারুক) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। আশা করি দ্রুতই রিপোর্ট দাখিল করতে পারবো। প্রতিবেদন দাখিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হবে।

এর আগে, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই সানাউল হক বলেছিলেন, ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে, তদন্ত চলছে।

তারও আগে, ২০১৬ সালের ০৪ মে অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন

তদন্ত সংস্থা। ওই দিন সানাউল হক জানিয়ে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে মামলা করা হবে।

সংস্থার তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খানও জানিয়েছিলেন, ওসমান ফারুক স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, এর পক্ষে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দাবি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওসমান ফারুকসহ ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। সেখানে একটি টর্চার সেলও ছিল। ওই তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হচ্ছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ওসমান গণির ছেলে ড. ওসমান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ইকোনমি অনুষদের রিডার ছিলেন। অন্য ১০ জনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা ছিলেন।

বিদেশে অবস্থানরত ওসমান ফারুকের ভাই যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হয়ে যাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলেও সে সময় জানান তদন্ত সংস্থা।

তবে ওসমান ফারুক সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি ১৯৭১ সালে দেশে ছিলেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।  

ড. ওসমান ফারুক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
ইএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।