ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নভেম্বরে ৫৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৪৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
নভেম্বরে ৫৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৪৩ ফাইল ছবি

ঢাকা: চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৫৮৬টি দুর্ঘটনায় ৬৪৩ জন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ৮২৬ জন আহত হয়।

একই সময় রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।

একই মাসে সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৬৬৮টি দুর্ঘটনায় ৭০৯ জন নিহত ও ৮৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

নভেম্বরে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার ৬০.৫৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.৪৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪.৯৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৬৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.১৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরে এবং ১.১৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বিগত মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২৮৪ জন চালক, ৮৭ জন পথচারী, ৮৫ জন নারী, ৮৯ জন শিশু, ৫০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৪ জন শিক্ষার্থী, ২৩ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ০২ জন এনএসআই সদস্য, ১২ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন সেনা সদস্য, ০৯ জন শিক্ষক, ০১ জন আইনজীবী, ০২ জন প্রকৌশলী, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন চিকিৎসক এবং ০৭ জন সাংবাদিকের পরিচয় মিলেছে।

এর মধ্যে নিহত হয়েছে ২২৫ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, ৫৯ জন নারী, ৫৭ জন শিশু, ২৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ০৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ০৫ জন সাংবাদিক, ০২ জন চিকিৎসক ও ০১ জন এনএসআই সদস্যের পরিচয় মিলেছে।

মাসটিতে সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৩০.৪৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৫.৩৭ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১.৮১ শতাংশ বাস, ১৩.৮৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯.৫০ শতাংশ নছিমন-করিমন, ৬.৭২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস এবং ২.৬৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, সড়কে দুর্ঘটনায় ৫৯.৮৯ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৭.৫৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১.২৬ শতাংশ খাদে পড়ে, ৯.৮৯ শতাংশ বিবিধ কারণে, ১.১৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ এবং ০.১৭ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বলছে, বিপজ্জনক অভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, ছোট যানবাহন ক্রমশ বৃদ্ধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেইন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা বিভিন্ন ফিডার সড়ক থেকে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নেমে আসার ফলে এসব ছোট যানবাহন দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেটকারের গতি কমিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২  
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।