ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আমরা যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
আমরা যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চট্টগ্রাম থেকে: সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলার নীতির কথা উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি চাই, আমরা যুদ্ধ চাই না।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) আয়োজিত ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা তা যথাযথভাবে মেনে চলছি এবং সেভাবে আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।  

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন সামরিক কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন- আশা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, আজকের দিনটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর কাঙ্ক্ষিত কমিশনপ্রাপ্তির মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজ এই শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হলো, তা যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেছিলেন—‘আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসেবে আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালোবেসো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবা, গুরুজনকে মেনো, শৃঙ্খলা রেখো, তা হলে জীবনে মানুষ হতে পারবা। ’ আমি আশা করি, নতুন ক্যাডেটরা এই কথা মনে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, দুর্যোগ, দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই আমাদের সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করে।

আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়তে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়ন করেছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সাল উদযাপন করেছি এবং ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররা হবেন ২০৪১-এর সৈনিক। তারা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন, লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাবেন, সেটিই চাই।

সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান ও আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

১০টা ৩৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনীর প্রধান তাকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ‘৮৩ তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স’ এর কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে যোগ দেন।

বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।