ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ভারতে পাচার হচ্ছে কৃষকের সার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
‘ভারতে পাচার হচ্ছে কৃষকের সার’

লালমনিরহাট: কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দেশের কৃষকদের সার ভারতে পাচার করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।  

পাচার ঠেকাতে অভিযানে বডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের উপর চোরাকারবারিদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সীমান্তে এমন ঘটনা ঘটে।  

এদিন দুটি বাইসাইকেল যোগে ৪ বস্তা সার নিয়ে ভারতে পাচারকালে দুই পাচারকারীকে ধাওয়া দেয় বডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় সারের সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

এরপর জব্দ হওয়া এসব সার ও সাইকেল নিয়ে বিওপি ক্যাম্পের ফেরার পথে পাচারকারীরা দলবল নিয়ে বিজিবি'র উপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।  

খবর পেয়ে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পাচারকারীদের হামলায় দুজন বিজিবি সদস্য আহত হন।  

বিজিবি জানিয়েছে, দুই পাচারকারীর নাম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। তারা আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। দুর্গাপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রি করেন তারা। পাশাপাশি ভারতে সার পাচারেও বেশ সক্রিয় এই দুই ভাই।  

এদিকে, ঘটনার পরদিন শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিজিবি'র দীঘলটারী বিওপি'র নায়েক সাবদাদুল হক বাদী হয়ে সার পাচারকারী সিরাজুল ও শরিফুলসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, সার পাচারের সত্যতা মিলেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সীমান্তবাসীরা জানান, ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটের প্রায় ২২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে কাটাতারের বেড়াহীন। এ অংশে কাটাতারের বেড়া না থাকায় খুব সহজে ভারতে পাচার হচ্ছে সারসহ নানান পণ্য। চোরাকারবারিরা সার পাঠিয়ে ভারত থেকে গরু আর মাদকসহ নানান পণ্য পাচার করছেন। কৃষকের লেবাস নিয়ে পাচারকারিরা দিনের আলোতেও সার পাচার করছে। রাতের আঁধারে নিয়ে আসে গরু আর মাদক। তাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের দারুণ সখ্য রয়েছে।  

সিরাজুল ও শরিফুল ছাড়ও অনেকেই ভারতে সার পাচার করছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। কৃষকরা সার না পেলেও পাচারকারীরা ঠিকই সার পাচ্ছেন বলে ক্ষোভ চাষিদের।

এ বিষয়ে জেলা সার বীজ সরবরাহ ও বিপনন মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় সারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্ঠিকারীদের ঠেকাতে বিক্রয় পয়েন্টে মাঠ পর্যয়ের কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কাটাতারের বেড়াহীন সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে সার ভারতে পাচার হচ্ছে এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে মনিটরিং কমিটি ও বিজিবিকে সজাগ করা হয়েছে। পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad