ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, ৩ কনস্টেবল বরখাস্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, ৩ কনস্টেবল বরখাস্ত

সিলেট: সিলেটে পুলিশের এক কর্মকর্তার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় ৩ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, গত ২৪ নভেম্বর ভোক্তভোগী কলেজছাত্র এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এরপর ঘটনাটি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ৩ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তবে ইয়াবা রাখার ঘটনায় মামলা হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওই কনস্টেবলরা ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, নাকি ইয়াবা বলে চিৎকার করেছে, বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন না দেখে কিছুই বলতে পারছেন না।  

বরখাস্ত ৩ কনস্টেবল হলেন- সিলেট মহানগর পুলিশে কর্মরত মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)।  

জানা গেছে, সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা পুলিশ সদর দফতরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮) গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রিত মোবাইল ফোনের টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যায় এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান। টাকা নিয়ে তারা দুজন শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় যান। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে ঝাপটে ধরে তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন দাবি করেন।

তাৎক্ষণিক ঘটনার প্রতিবাদ করেন সাইফুর রহমান আসাদ ও তার বন্ধু। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরের কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ করেন।  

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে (স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স) তিন কনস্টেবলের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এনইউ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।