ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

অস্ত্রোপচার পরবর্তী সুস্থতায় সংগীত

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
অস্ত্রোপচার পরবর্তী সুস্থতায় সংগীত

ঢাকা: পছন্দের গান অস্ত্রোপচার পরবর্তীর সুস্থতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রধান গবেষক যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্যাথরিন মেডস বলেন, মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট ২০১২ সালের একটি প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৫ কোটি ১০ লাখের বেশি অস্ত্রোপচার হয়।

এসব রোগীরা খুব সহজেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, নিরাপদ ও স্বল্প মূল্যের ওষুধের ‘সংগীতের’ আশ্রয় নিতে পারেন। রোগীর যে সংগীত শুনতে ইচ্ছা করে, সেটাই তার জন্য উপযুক্ত।

এটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় হওয়ায়, সংগীত বা সুর চিকিৎসায় কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করে না।

গবেষণাটিতে প্রায় সাত হাজার রোগীর ৭২টি প্যাথলজিক্যাল প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে পছন্দের গান শুনলে উদ্বিগ্নতা ও ব্যথা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ফলে রোগীর ব্যথা নিরামক ওষুধের প্রতি নির্ভরতা কমে।

গবেষকরা আরও দাবি করেন, যে কোনো সময় গান শোনা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু বিশেষত অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে এটি বেশি কাজ করে। দ্রুত সুস্থতা এলেও রোগীদের যে সময় পর্যন্ত হাসপাতালে থাকার কথা, তার চেয়ে কম থাকার সুযোগ নেই।
গবেষণাটির সঙ্গে পরবর্তীতে মার্কিন দুই গবেষকও সহমত পোষণ করেন।

নিউ ইয়র্কের মিনিওলা উইনট্রপ-ইউনিভার্সিটি হসপিটালের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট চেয়ার ডা. রন মারিনো বলেন, সংগীতে এমন ক্ষমতা রয়েছে মানুষের শরীর ও মনে প্রভাবে ফেলতে পারে। এ কারণেই হয়তো প্রতিটি সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সংগীতে পাওয়া যায়।

যাদের পেইন আনেক্সেটি রোগে ভোগেন তাদের সহযোগিতা করতে ‘নন-ট্রাডিশনাল’, ‘নন-ফার্মাকোলজিক’ পদ্ধতি হতে পারে সংগীত, যোগ করেন তিনি।

একই কথা বলেন নিউ ইয়র্কের জুকার হিলসাইড হসপিটালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট কার্টিস রেসিনগার।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।

আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।

এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ