ঢাকা: কুশল বিনিময়ের একটি সাধারণ প্রশ্ন ‘বিয়ে কবে করছেন’। আর এর পরের ধাপই হলো ‘শুভ সংবাদ কবে’।
তাদের মতে, অসময়ের সন্তান জন্ম থেকেই মনস্তাত্ত্বিকভাবে দরিদ্র হয়। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবারের আয়ের সামান্য পার্থক্য শিশুর মানসিক গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
যেমন স্বল্প আয় এমন দম্পতির সন্তানদের আচরণ ও জ্ঞান জন্ম থেকেই দরিদ্র হয়। এর কারণ এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারে অস্থির পরিবেশ, পুষ্টি স্বল্পতা ও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা এমনটি দাবি করেন। এতে নেতৃত্ব দেন নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট কিমবার্লে।
গবেষণায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে শিশুর দৈহিক পার্থক্যের বিষয়টি পরীক্ষা করে সহায়তা করেন ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত চিল্ড্রেনস হসপিটাল লস এঞ্জেলেস-এর এলিজাবেথ সোয়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৯৯ জন শিশুর মনস্তাত্ত্বিক তথ্য গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে যাদের পূর্ব পুরুষ (বাবা-মা বা যার দায়িত্বে সংসার চলে) দরিদ্র এবং যাদের অবস্থা ভালো তাদের মস্তিষ্কের গঠন বিশ্লেষণ করা হয়।
এতে দেখা যায়, ২৫ হাজার মার্কিন ডলারের নীচে যাদের আয় তাদের সন্তানদের চিন্তার ক্ষমতা যাদের আয় ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি তাদের সন্তানদের তুলনায় শতকরা ৬ শতাংশ কম। পরবর্তী জীবনেও এরা সিদ্ধান্তহীনতা, যোগাযোগ গড়ে তুলতে না পারা, দ্রুত সবকিছু ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগে।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেনিসলভেনিয়ার কগনিটিভ নিউরোসায়েন্টিস্ট মারথা ফারাহ বলেন, গবেষণাটি অবিশ্বাস্য হলেও অসাধারণ। দম্পতিদের সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে খুবই সহায়ক হবে এটি।
প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো।
আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।
সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।
আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এটি/এএ