ঢাকা: চুপিচুপি গিয়ে আপনার ছোট্ট শিশুটির কাছে গিয়ে বো.. বললেই সে হেসে ওঠে। এমন ঘটনা থেকে গবেষকরা এবার বলছেন ভিন্ন কথা।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জনস হকিন্স ইউনিভার্সিটির দুই ব্রেইন সাইকোলোজিস্ট তাদের গবেষণা শেষে এমনটিই জানিয়েছেন।
১১ মাস বয়সী শিশুদের কোনো কিছু শেখার ক্ষমতা যাচাই করতে চারটি ভিন্ন স্তরে ভাগ করে এ গবেষণা চালানো হয়।
তারা বলেন, শিশুরা সব সময় কোনো জিনিস হাতে নেয় শেখার জন্য এবং পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করার জন্য। প্রধান গবেষক অ্যামি স্টালের মতে, শিশুরা যখন কোনো জিনিস দেখে বিস্মিত হয়, তখন তারা ওই জিনিস নিয়ে পুরোপুরো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে তাদের শেখার ক্ষমতা বিকশিত হয়। যদিও আমরা শিশুদের সামনে নতুন কিছু দিতে উৎসাহ পাই না।
আমাদের গবেষণায় অংশ নেওয়া শিশুদের বল দেখানো হয়। একদল শিশুকে দেখানো হয়, ৠাম্প দিয়ে একটি বল গড়িয়ে এসে দেয়ালে বাধা পাচ্ছে। অন্যদল দেখতে পায়, বলটি ৠাম্প দিয়ে গড়িয়ে এসে আশ্চর্যজনকভাবে দেয়ালে বাধা না পেয়ে পার হয়ে যায়। শিশুদের কাছে এটি ম্যাজিকের মতো।
এ ধরনের বিস্ময়জনক ঘটনা তাদের মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাদের মতে, যে শিশুগুলো দেখলো বলটি গড়িয়ে এসে বাধা প্রাপ্ত হলো তাদের তুলনায় যে শিশুগুলো দেখলো বলটি দেয়ালে বাধা না পেয়ে চলে গেল, তাদের শেখার ক্ষমতা অনেক বেশি হয়।
যখন কোনো ঘটনা শিশুদের বুঝতে অসুবিধা হয়, তখন তারা ওই বিষয়ে বেশি মনোযোগ দেয়। সহকারী গবেষক অধ্যাপক লিসা ফিজেনসন বলেন, পৃথিবীর চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এত কিছু রয়েছে যা থেকে প্রতিদিনই শেখা সম্ভব। শিশুরা জানে না তারা কি শিখবে আর কোন অংশটুকু বাদ দেবে।
আমাদের মতে, তারা যখন ধারণা করতে পারে একটু পরে কি হতে চলেছে তখন ওই বিষয়ে আগ্রহ হারায় শিশুরা। যখন তারা দেখে, ধারণা করা ঘটনাটি না হয়ে ব্যতিক্রম হয়েছে, তখন তারা নতুন বিষয়টি বুঝতে তার ওপর নজর দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৫