ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

আপনার সমস্যা, আমাদের সমাধান

আপনি কী চাননি, আপনার সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাক!

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৫
আপনি কী চাননি, আপনার সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাক! ছবি : প্রতীকী

ঢাকা: মনোকথা আপনাদের ‍পাতা। আপনার মনস্তাত্ত্বিক নানা সমস্যা সমাধানে আমরা রয়েছি আপনার পাশে।

সমস্যা জানিয়ে জেনে নিন সম্ভাব্য সমাধান।

আপনার সমস্যা

সুধী,

আমার বয়স ৩৬। আমার সমস্যাগুলো  অনেক প্রকট। সবরকম মানসিক সমস্যা আমার মধ্যে বিদ্যমান। সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেয়েছে। কখনো কোন ডাক্তার এর কাছে যাইনি এ ব্যাপারে। কোন অসুধও খাইনি কখনো। আমাকে পারিবারিক এবং চাকুরী জীবনে অনেক সমস্যায় পরতে হচ্ছে।

সমস্যাগুলো নিম্নে উল্লেখ করলাম.........

১। কোন কিছু মনে রাখতে পারিনা দ্রুত ভুলে যাই।

২। কোন কাজে মনঃসংযোগ দিতে পারিনা।

৩। মনটা সবসময় বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে।

৪। একটুতেই নার্ভাস হয়ে পড়ি।

৫। ধারাবাহিকভাবে কোন কিছু চিন্তা করতে পারিনা।

৬। একটুতেই ভয় পাই।

৭। আত্মবিশ্বাস এর অভাব।

৮। নিজেকে ছোট মনে হয়।

৯। গভীরভাবে চিন্তা করতে পারিনা।

দয়া করে আমাকে সমস্যাগুলো থেকে উত্তরনের সঠিক পথ দেখাবেন বা একজন ভাল ডাক্তার এর খোঁজ দিবেন।

আমাদের সমাধান

আপনার সমস্যাগুলো পড়লাম। বোঝা যাচ্ছে, বিষয়গুলো আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। তবে সমস্যাগুলো কতদিনের সেটা বোঝা গেল না। আপনি কোথায়
থাকেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।

কিন্তু আপনাকে একটা প্রশ্ন না করে থাকতে পারলামনা। আপনি, লিখেছেন কোনো ডাক্তারের কাছে আপনি জাননি এবং কোনো ওষুধও আপনি খাননি, কেন?

আপনি কী এতদিন চাননি যে, আপনার সমস্যাগুলি দূর হয়ে যাক! নাকি ভেবেছিলেন এমনিতেই সমস্যাগুলি চলে যাবে? কিছু মনে করবেন না, আমাদের আশে-পাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা আপানাকে শুধু বিভ্রান্ত করবে।

আমাদের পরামর্শ থকবে, যিনি যে বিষয় জানেন-বোঝেন বা বিশেষজ্ঞ, দয়া করে তার কাছ থেকেই সে বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি সমাধান না পেলেও, কখানো বিভ্রান্ত হবেন না। সেটা চিকিৎসা প্রসঙ্গেই হোক বা অন্য কোনো বিষয়।

আপনার সমস্যাগুলোর অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকি শারীরিক কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা সমস্যার কারণেও এসব অসুবিধা হতে পারে। কোনো একটি সমস্যা যতক্ষণ পর্যন্ত কারো কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেটাকে রোগের পর্যায়ে ফেলতে চাইনা। ‍ কিন্তু যদি সেটা কাজ বা প্রতিদিনের চলার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে তবে অবশ্যই তার চিকিৎসার দরকার।

যে সমস্যাটা আপনার হচ্ছে, তাতে আরো আগেই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা দরকার ছিল। সুতরাং দেরি না করে, দ্রুত কোনো একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন।

ঢাকায় থাকলে আপনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগবিদ্যা বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা সেখানে আছে।

আপাতত আপনি যা করবেন-

ট্যাবলেট- আরপোলাক্স, প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর একটা করে খেতে পারেন। মনে রাখবেন, এই ওষুধে আপনার সমস্যা দূর নাও হতে পারে, তবে সমস্যা কমতে পারে। কারণ আপনার সমস্যার পিছনের কারণ কি, সেটা জানা খুবই জরুরি।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-

biplob

 

ডা: সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫
Monokotha

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ

welcome-ad