ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

আপনার সমস্যা, আমাদের সমধান

দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫
দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই

ঢাকা: যুক্তরাজ্য থেকে বাংলানিউজের একজন নিয়মিত পাঠক শিপা জানিয়েছেন তার মতামত, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মনোরোগ চিকিৎসা বিষয়ে তার ভাবনা এবং রেখেছেন কিছু প্রশ্ন।

তার প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব।



আপনার সমস্যা

3/4 din ager ekti leka ebong poramorser (ami prai eka eka kadi) prosonge leka ti lhikci, meyetir boyosh 18. Lekati porei buja jacce voyaboho bisonnotai bhugce meyeti and apni poramorsho dicen bisesoggher soronaponno hote.

Great! Kintu meyetar baba ma teke o nei n amar mone hocce manoshik treatment korte j taka koroch hoy seta bohon kora besyrbhag manusher pokkei kostokor! Ami sudu ei prosongei bolci j uk te protiti manuser odhikar ace free sorboccho treatment pawa!

Ami seta vhuleo bd te asha korcina, karon amader desh ei porjaye pouchate onek din lagbe! Tahole ei meyeti n ei porjayer bektir treatment khivabe hobe?

Shadaron maner kuno bebostha Ki ace? Seta takle poramorsher sesh e Ki
ullek kora kub e upokari hoto na?

Dear sir jehetu apni nijei chikitsha bigghaner sate jorito abong ekjon bisesoggho, apni o sobceye besy kore onubhov koren j ei nia prochur campaign n leaflet bitoron kora dorkar!

Ei bisoyta maddhomic er pattoboiye ontorbhukto korar jonno apnader kuno proses ace?

Kace takle paser onek kicui clear hoyna. Dhure na ele bujtamna khi voyaboho vabei amader char pase ei somossa biddhoman!

Ami kub onutap bhud kori subida bonchito sei sob manushder jonno!

Lekati poramorsho hishabe nia vhul bujben na please... Bedonar kotato apnakei bolbo!

Ashpaser sobai k nia nirapod takun. AMA k somoy deyar jonno kritoggho.


আমাদের সমাধান

আপনি যে লেখাটি দেখে নিজে আবার মনোকথায় লিখেছেন, সে লেখাটি আমি আবার নতুন করে পড়ে দেখলাম। বিষয়টি নিয়ে আপনি চিন্তিত, এই পরমসহিষ্ণুতা দেখে আমার বেশ ভালোই লাগলো।

আমরা আজকাল নিজেকে নিয়ে এতো ব্যস্ত যে অন্যদের সুখ দুঃখ-কষ্ট-প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একেবারেই ভাবতে চাই না। কোনো কারণে যদি মনে বিষয়গুলো চলেও আসে বা দাগ কেটে যায় তবুও আমরা সেটার জন্য সময় দেই না। আমাদের সময় কোথায়? নিজের প্রাপ্তি, প্রয়োজনীতা, আকাঙ্ক্ষা আমাদের সব সময় তটস্থ করে রাখে!

নিজের কাজের ফাঁকে আপনি একটু দাঁড়িয়েছেন, মেয়েটির কথা ভেবেছেন সেজন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।

হ্যাঁ, একথা সত্যি, এমন সমস্যা আমাদের দেশে অনেক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সব দায়িত্ব নেওয়ার অবস্থা আমাদের দেশের এখনো হয়ে ওঠেনি।

আপনাকে আরেকটি কঠিন সত্যি জানাই, তাহলো আমাদের দেশের সব সরকারি হাসপাতালে এখনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এমন কি অনেক বড় বড় হাসপাতালেও মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।

সুতরাং, মেয়েটিকে এমন একটি পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকে না। মেয়েটি অবশ্য কোথায় থাকে, তা উল্লেখ করেনি। করলে তার কাছাকাছি কোনো একজন বিশেষজ্ঞের নাম বা ঠিকানা বলে দেওয়া যেতো, এক্ষেত্রে তাও করা সম্ভব হয়নি।

আমি তার চিকিৎসার খরচসহ সবকিছু যেন সহজ হয়, সেটা চিন্তা করেই লিখেছিলাম ঢাকায় থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগবিদ্যা বিভাগে যোগাযোগ করতে।

এছাড়া স্থানীয় বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করা ছাড়া আমি আর কি পরামর্শ দিতে পারি!

আপনি বোধ হয় খেয়াল করেননি, উত্তরের শেষ দিকে আপাতত কি করতে পারে, তা উল্লেখ করেছিলাম। যা সে আপাতত প্রাথমিকভাবে শুরু করতে পারে।

আপনি জানতে চেয়েছেন, সচেতনতা তৈরির জন্য কোনো লিফলেট বা এ জাতীয় কিছু করা যায় কিনা? উত্তরে বলছি, মনোকথা নিজেইতো সে কাজটি করছে বা করার চেষ্টা করছে।

আজকাল কিন্তু সব মিডিয়ায় এসব নিয়ে আলোচনা ও লেখালেখি হচ্ছে।

আপনার লেখায় রাগ করা বা মন খারাপ করার কিছু নেই, বরং মানুষের জন্য ভাবার বা কিছু করার অনুপ্রেরণাই খুঁজে পাওয়া যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।
সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-

ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ