ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মনোকথা

বিষয়গুলি জেনে নিন

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
বিষয়গুলি জেনে নিন

ঢাকা: মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কম-বেশি সবাই চিন্তিত। অনেক সময় এমন কথাও মনে আসে যদি মৃত্যুকে জয় করা যেত! প্রকৃত বিষয় হলো আমরা প্রত্যেকেই সময় গণনার সঙ্গে চলছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তা চলতে থাকবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু মজার বিষয়! যা জানার পরে ভিন্ন ধারণাও জন্মাতে পারে।

প্রতিদিন মারা যায় ৫ কোটি কোষ
সেন্সাস ব্যুর’স পপুলেশন ক্লক-এর তথ্য অনুযায়ী প্রতি মিনিটে গড়ে ১০৭ জন মানুষ মারা যান, সে হিসেবে বছরে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৬০ লাখ জন। অ্যারিজনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুযায়ী প্রতি মিনিটে আমাদের শরীরের ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোষ মারা যায় এবং গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি। এই বিপুল সংখ্যক চামড়ার কোষ পরিবর্তিত হয় আমাদের শরীরে।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমে হাড়
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ জন্মের সময় প্রায় ২৭০টি হাড় নিয়ে জন্মায়। তবে মারা যায় ২০৬টি হাড় নিয়ে (শরীর কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল)। মার্শাল ক্যাভেন্ডিস করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, জন্মের পরে শরীর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একাধিক হাড় একত্রিত হয়ে একটি লম্বা হাড় তৈরি হয়।

বয়সের মৃত্যু হয় না
আমরা সাধারণত মনে করে থাকি বয়স হয়ে গেলে মানুষ মারা যায়। বিষয়টি সত্য নয়। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেসব অসুখে আক্রান্ত হয়, সেগুলোর কারণেই মূলত মানুষ মারা যায়। ১৯৫১ সালে স্টেট অ্যান্ড ফেডারেল এজেন্সিস মৃত্যুর মোট ১৩০টি সাধারণ কারণ নির্ধারণ করে।

চিকিৎসকের হাতের লেখার কারণে ৭ হাজার জন মারা যান
বিষয়টি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও চিকিৎসকের দুর্বোধ্য হাতের লেখার কারণেই প্রতি বছর ৭ হাজার মানুষ মারা যান। ওষুধ এবং মাত্রা ভুল হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দ্য ন্যাশনাল একাডেমিস অব সায়েন্সে’স ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন (আওএম)-এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ২০০৬ সালে প্রকাশিত তাদের একটি প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের কম্পিউটারে ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাদের মতে ওষুধের দোকানিদের মোবাইল ফোনেও যদি ব্যবস্থাপত্র দেখানো হয়, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

অধিকাংশ মানুষ মারা যান হাসপাতালে
জন্ম ও মৃত্যু হাসপাতালের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মানুষের মনে একটি বিরূপ ধারণা জন্ম নিয়েছে, হাসপাতালেই অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। এর কারণ, সেন্টার্স ফর ডিজিডেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকার শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ বৃদ্ধ বয়সে হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নেন এবং সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মারা যান।

ডানহাতিদের কারণে সংখ্যা লঘুদের মৃত্যু
যারা বাম হাতে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা তুলনামূলক কম বাঁচেন। কারণ তারা ডানহাতিদের আগ্রাসনের শিকার। অধিকাংশ পণ্য তৈরি করা হয় ডানহাতিদের কথা বিবেচনা করে। ফলে প্রতি বছর ডানহাতিদের পণ্য ব্যবহার করে আড়াই হাজার বামহাতি মানুষ মারা যান। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডান হাতি ব্যক্তির গড় আয়ু ৭৫ বছর, অন্যদিকে বামহাতি ব্যক্তিরা খুব কম ক্ষেত্রেই ৬৬ বছর বাঁচেন!

আপনার শরীরই কুরে খাচ্ছে আপনাকে!
জীবিত থাকাবস্থায় রাতের খাবার হজম করার জন্য আপনার শরীর যে এনজাইম উৎপাদন করতো, মৃত্যুর তিনদিন পর থেকে সেই এনজাইম-ই আপনার শরীর পচাতে শুরু করে এবং মানবদেহে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের খেয়ে ফেলে।

এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, এটাই ভালো কথা আমরা বেঁচে আছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ