ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

সুখী হওয়া অভ্যাসের ব্যাপার!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
সুখী হওয়া অভ্যাসের ব্যাপার! ছবি: সংগৃহীত

আপনি কি জানেন, আমেরিকা পৃথিবীর সুখীতম দেশগুলোর মধ্যে ১৭ তম? ২০১৩ সালের দ্বিতীয় ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ অনুযায়ী ১৫৬টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে উত্তর ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও নেদ্যারল্যান্ড। অন্যদিকে সবচেয়ে অসুখী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকান দেশগুলো।



তবে কি বলা যায় অর্থই সব সুখের মূল? অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হলেই কি হওয়া যায় সবচেয়ে সুখী মানুষ? না, সুখ কোনো গন্তব্য নয়, বরং একটি উপলব্ধি বা ভালো থাকতে চাওয়ার এক আন্তরিক প্রয়াস।

যারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায় তারাই প্রকৃতপক্ষে সুখী।

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
প্রতিদিনের ব্যস্ততার পর শরীর ও মন চায় একটু বিরতি। এই চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দশ মিনিটের বিরতি নিন। পছন্দের কফি মগটি তুলুন। চেয়ারে হেলান দিয়ে হেডফোনে শুনতে পারেন মাইল্ড কোনো মিউজিক। দেখবেন দশ মিনিটের এই বিরতি আপনার কাজে ফের এনে দেবে উদ্যম।

কাজ ফেলে রাখবেন না
অনেক সময় কাজ যথাসময়ে না করার ফলে একসঙ্গে অনেক কাজ জমে যায়। যা কি-না মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তাই কাজ যথাসময়ে করুন। আর একটি কথা, অনেক কাজে একসঙ্গে হাত দেবেন না। যেটাই করুন না কেন পরিপূর্ণভাবে শেষ করে তারপর নতুন কাজে হাত দিন।


বন্ধুদের সময় দিন
বন্ধু বেঁচে থাকার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। দিনের শেষে বা সাপ্তাহিক ছুটর দিনে দেখা করুন বন্ধুদের সঙ্গে। মন খুলে আড্ডা দিন। হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠুন। সবাই মিলে খোলা হাওয়ায় কোথাও থেকে বেড়িয়েও আসতে পারেন।

নিয়ম করে হাঁটুন
প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে হাঁটুন। বাইরে না যেতে চাইলে ছাদেও হাঁটতে পারেন। পারলে ভোরে শিশিরভেজা ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটুন। এতে প্রশান্তির সঙ্গে পায়ের লাবণ্যও বাড়বে।

প্রকৃতি দেখুন
কথায় বলে যে প্রকৃতি দেখে সে কখনো একা হয় না। যতটা সম্ভব প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। শোবার ঘর, লিভিং রুম ও বাথরুমে ঘরোয়া গাছ লাগাতে পারেন। বারান্দায় রাখতে পারেন ফুলের টব ও মানিপ্ল্যান্টস। ভোরবেলা ও বিকেলে ছাদে যান। বুকভরে নিশ্বাস নিন। ফুলের রং ও পাতার বর্ণ দেখুন।

ঘর সাজান
সারাদিন শেষে যে ঘরে ফেরেন শান্তির আশায় সে ঘরটাকে সাজিয়ে তুলুন মনের মতো করে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো সরবরাহের ব্যবস্থা রাখুন। মাঝে মধ্যে পাল্টে দিন ঘরের ইন্টেরিয়র।

আয়না দেখুন
আয়নায় নিজের অবয়ব দেখুন। নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের খুঁতগুলো না দেখে কি কি সুন্দর তা দেখুন। নিজেকে সাজিয়ে তুলুন নতুন রূপে। নিতে পারেন ট্রেন্ডি ফ্যাশন লুক, পাল্টে দিতে পারেন চুলের ছাট।


গান শুনুন
বিজ্ঞানমতে গান শুনলে জীবনীশক্তি বাড়ে ও মন ভালো থাকে। তাই মন ভালো রাখতে শুনুন পছন্দের গান।

প্রার্থনা
প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন। তাকে ধন্যবাদ জানান। চেপে রাখা কষ্ট বলুন। সেসব মোকাবেলার জন্য শক্তি প্রার্থনা করুন।

যোগব্যায়াম
যোগব্যায়াম দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমায়। তাই নিয়মিত যোগব্যয়াম করতে পারেন।

সবাইকে ভালোবাসুন
নিজের ভালোবাসার দরজা উন্মুক্ত করে দিন সবার জন্য। সদয় হোন। ধৈর্যশীল ও যতœবান হোন। জেনে রাখুন মহত্ত্বই প্রশান্তির ধারক ও বাহক।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ