ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

শিশুদের সঙ্গে আলাপ তাদের সামাজিক করে!

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৫
শিশুদের সঙ্গে আলাপ তাদের সামাজিক করে! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শিশুদের কথা শেখানোর একটি ভালো মাধ্যম হলো তাদের সঙ্গে কথা বলা, বাবা-মা ও ‍অন্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন শিশুদের সঙ্গে আলাপ করলে পরবর্তী জীবনেও তাদের কাজে লাগে।



সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা বলছেন, জন্মের পর থেকেই এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সঙ্গে আলাপ করলে তাদের শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। এতে যেকোনো পরিবেশে চলাফেরা করতে তাদের সুবিধা হয়। একইসঙ্গে ‍তারা সামাজিক হয়ে গড়ে ওঠে। খুব সহজেই যেকোনো মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

বিগত কয়েক বছরে ‘ওয়ার্ড গ্যাপ’ বিষয়ক বেশ কিছু গবেষণা করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কেননা দেখা গেছে নতুন প্রজন্মের শিশুরা যথেষ্ঠ পরিমাণে সামাজিক হচ্ছে না, পাশাপাশি তাদের ভেতরে শব্দ সংকট দেখা যাচ্ছে।

ইলিনয়-এর ইভানস্টনে ‍অবস্থিত নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মনস্তত্ত্ববিদ সান্দ্রা ওয়াক্সম্যান বলেন, শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কম হলে ত‍ারা অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না।

অনেক ক্ষেত্রে যা বোঝাতে চায়, তাও সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে ন‍া। ২ থেকে ৩ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুরা কেবল ভাষা শুনতে পছন্দ করে এমন নয়, পরবর্তীতেও যেকোনো বয়সী মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

ডা. ভলুমানোস বলেন, শিশুদের কেবল শব্দ শে‍খানোর জন্য কথা বলাই জরুরি নয়। কথা শোনার মাধ্যমে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠনে মৌলিক পরিবর্তন আনে।

গবেষকদের মতে, শিশুদের যোগাযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কথা বলা বই পড়ার চেয়ে চার গুণ বেশি কার্যকর।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।   

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-



বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ

welcome-ad