ঢাকা: ‘না’ বলাটাও একটা আর্ট। সবাই কিন্তু গুছিয়ে না বলতে পারেন না।
‘এটা করো না’, ‘ওটা করো না’ যেমন আপনার শুনতে ভালো লাগে না তেমনি পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যের ক্ষেত্রেও।
তাই সরাসরি ‘না’ বলে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিৎ, যে বিষয়টা নিয়ে এতো হৈ-চৈ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। কিংবা কোনটা ভালো বা মন্দ সে সম্পর্কে বিস্তারিত খুলে বলা।
তাকে বলুন, এ ধরনের কাজ তোমায় মানায় না। এতে আপনিও অপ্রিয় হলেন না। খুদেটিও একবারেই কথা শুনবে।
ধরুন, শপিং মলে গেলেন! দোকানে কিংবা শো-রুমে খেলনা চকোলেট দেখে শিশুটি কিনে দেওয়ার বায়না করতেই পারে! কিন্তু আপনি সঙ্গে সঙ্গেই কিনে দেওয়ার পক্ষপাতী নন।
কঠোর গলায় ‘না’ জানিয়ে নরম গলায় বলুন, দু'একদিনের মধ্যে নিশ্চয়ই কিনে দেবেন। আপনার আর পিচ্ছির; দু'জনের কথাই থাকলো।
সন্তান কী টিনএজের আশ-পাশে? তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ হলো, বারণ করা সত্ত্বেও যে কাজ সে করতে চাইছে তার ভালো-মন্দের দায়িত্ব তাকেই দিয়ে দেওয়া।
ফলশ্রুতিতে দেখবেন, দায়িত্ব ঘাড়ে চাপলেই জেদী মন নরম হয়ে যাচ্ছে। গভীরভাবে কাজটার ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবছে।
এই বয়সে সন্তানকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ বলেও মত দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কিশোর-কিশোরীকে কঠোর গলা ‘না’ বলে সে যা করতে চাইছে সেই বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ বলুন।
ভালো-মন্দের বিচার করতে শিশুটিকে অধিকার দেন। এতে আপনার সন্তানও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে এবং দায়িত্ববান ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে।
তবে দেরি কেন? এই মুহূর্তু থেকেই নতুন ভাবে ‘না’ বলা শুরু করে দিন!
প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।
সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।
আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪