ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

অটোমেটিসিটি

এমনি এমনি করেন!

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪
এমনি এমনি করেন!

ঢাকা: আপনার কি  মনে পড়ে এমন কোনো কাজ যা আপনি একেবারে না ভেবেই করে ফেলেছেন। এই যেমন ধরুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাতমুখ ধোয়া কিংবা দাঁত ব্রাশ করা।

অথবা ধরুন গাড়ি চালানো। কোনো কিছু চিন্তা না করেই সে কাজটি করে ফেলার এই ক্ষমতাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অটোমেটিসিটি।

আমাদের প্রত্যহিক জীবনে অনেক জটিল কাজ না ভেবেই আমরা করে ফেলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। মস্তিষ্কের এ অবস্থা অনেক কাজের ক্ষেত্রে আমাদের মনোযোগকে মুক্ত করে দেয় ফলে আমরা বুঝতেই পারি না অথচ কাজ ঠিকই করে ফেলি।

তবে এক্ষেত্রে ঝুঁকি কিন্তু কম নয়! আসুন জেনে নেয়া যাক অটোমেটিসিটির পেছনে মনোবিজ্ঞানের ‍ব্যাখ্যা কি।

চিন্তা না করেই কাজ করার বিষয়টি মূলত অভ্যস্ততা এবং দীর্ঘ জানার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। যদি কেউ কোনো কাজ দীর্ঘ দিন করতেই থাকে, সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে চিন্তা ছাড়াই সে কাজটি করে যেতে পারেন। কেবল গাড়ি চালানোই নয়, হাঁটাও এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

এর উপকারী দিক হলো অভ্যস্ততার কারণে আমাদের কাজের সময় অনেক কমে আসে। ফলে খুব কম সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ শেষ করতে পারি। পাশাপাশি এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে যেমন ব্যস্ত সড়কে চিন্তা না করেই পার হওয়ার চেষ্টা করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই অভ্যস্ততার কারণে আমরা প্রায়ই সড়কে ট্রাফিকের অবস্থা লক্ষ্য না করেই পার হয়ে যাই।

তবে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। দৈনন্দিন কাজের তালিকা করে দিন শেষে মিলিয়ে দেখা সারা দিনে আপনি কি কি কাজ করেছেন।

একজন ব্যাংক কর্মচারীর ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সাধারণত গ্রাহক বিবেচনা করে ব্যাংক কর্মকর্তারা লেনদেন করে থাকেন। ঋণ গ্রহণে সহায়তার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অবলম্বন করে থাকেন তারা। যে কারণে তাদের ক্ষেত্রে অটোমেটিসিটি কাজ করে না। স্বাস্থ্যকর্মী এবং উড়োজাহাজ চালকরাও অটোমেটিসিটি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নির্দেশনা সহযোগীর সঙ্গে দুইবার করে আলোচনা করে থাকেন। তবে সব সময় এ নিয়ম কাজ করবে এমনটিও আশা করা ঠিক না, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

তাদের মতে অটোমেটিসিটির প্রভাবমুক্ত হওয়া খুব সহজ কাজ না। তাই প্রতিটি সিদ্ধান্তে এবং পদক্ষেপে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।   

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ