ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

বিষন্নতা কাটাবে পরিশ্রম!

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
বিষন্নতা কাটাবে পরিশ্রম!

এক সপ্তাহে তিনবার শারীরিক পরিশ্রম করলে শতকরা ১৬ ভাগ বিষন্নতা কাটে। পাবলিক হেলথ কনসোরটিয়ামের অধীনে একটি গবেষণা শেষে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’র গবেষকরা এমনই কথা বলছেন।



গবেষকরা বলছেন, বিষন্নতার সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রম দুইভাবে সম্পৃক্ত। যারা সপ্তাহে অধিকাংশ সময় ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন তাদের ভেতরে বিষন্নতার প্রবণতা তুলনামূলক কম দেখা যায়, বিশেষত কম বয়সীদের মধ্যে।

গবেষণায় যাদের জন্ম ১৯৫৮ সালে এমন ১১ হাজার ১৩৫ জন মানুষের বয়স ৫০ বছর হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ইংল্যান্ডে শতকরা ১৯ ভাগ পুরুষ এবং ২৬ ভাগ নারী বর্তমানে কেবল অলস সময় কাটান। গবেষণা শেষে দেখা যায় শারীরিক পরিশ্রম তাদের মানসিক অবস্থার পাশাপাশি শারীরিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটায়।

ডা. নেহাল বলেন, এই পরামর্শ কেবল যারা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বিষন্নতায় ভুগছেন তাদের জন্য নয়। বরং বলা যেতে পারে প্রত্যেকের জন্যই।

কারও ওজন সামান্য বেশি হলেই যেমন তাকে রোগী বলা যাবে না। একইভাবে প্রতিটি মানুষের ভেতরেই কিছুটা বিষন্ন ভাব কাজ করতে পারে, কিন্তু তাকে রোগী বল‍া যাবে না।

গবেষকরা ২৩, ৩৩, ৪২ এবং ৫০ বছর বয়সী রোগীদের জন্য কিছু প্রশ্ন নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী কিছু শারীরিক পরিশ্রম করতেও দেওয়া হয়।

ডা. পিন্টু পেরিয়া বলেন, বিষন্নতা ব‍াড়ন্ত শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশে বাধা দেয়। অতীতের গবেষণা অনুযায়ী, বিষণ্নতার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে দেওয়া হলে বিভিন্ন ধরনের ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। তবে সেসব গবেষণাতে এ কথাও স্বীকার করা হয়, মানসিক সুস্থতায় শারীরিক পরিশ্রমের গুরুত্ব রয়েছে। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এ কথা অনেকেই জানেন। তবে বিষন্নতার ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রম কার্যকর এ বিষয়টি এবার নতুন করে প্রমাণ হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।   

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন



বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ