ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

মানসিক নির্যাতন শিশুকে আত্মহত্যা প্রবণ করে

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৪
মানসিক নির্যাতন শিশুকে আত্মহত্যা প্রবণ করে

অনেক সময় শিশুদের আবেগ প্রবণতাকে কঠোরভাবে দমন করা হয় এবং অবজ্ঞা করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আচরণ (emotionally abuse) শিশুর মানসিক সমস্যা বা রোগের কারণ হতে পারে।

পাশাপাশি তারা এর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের তুলনা করেছেন।

সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেন। যদিও এতদিন আলোচনার বাইরেই থেকে গিয়েছিল বিষয়টি।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেন দ্য ট্রমা সেন্টার অ্যাট জাস্টিস রিসোর্স ইনস্টিটিউটের গবেষক যোসেফ স্পিনাজোলা (পিএইচডি)।

তিনি বলেন, শিশুদের এ ধরনের নির্যাতনমুক্ত রাখতে হলে বা অবজ্ঞার হাত থেকে বাঁচাতে হলে সামাজিকভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গবেষণায় ন্যাশনাল চাইল্ড ট্রমাটিক স্ট্রেস নেটওয়ার্কের সংগ্রহে থাকা ৫,৬১৬ শিশুর জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার ইতিহাস নেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায় অধিকাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই যৌন নির্যাতন, শারীরিক নির্যাতন কিংবা মানসিক নির্যাতন যেমন ভয় দেখানো, অপমান করা, প্রত্যাশার মূল্যায়ন না করা ইত্যাদি কোনো না কোনো বিষয় রয়েছে।

মানসিকভাবে নির্যাতিত শিশুরা পরবর্তীতে উদ্বিঘ্নতা, বিষন্নতা, হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে ওঠে। শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও এমনটি হতে পারে। একইসঙ্গে অন্যদের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতাও লোপ পেতে পারে। তবে শিশুর সুস্থ বিকাশে মানসিক নির্যাতনের বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন কোনোভাবেই মানসিক নির্যাতন নয়। আবার শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের মতো মানসিক নির্যাতন ততটা গুরুত্বপূর্ণ হয় না। যদিও একজন শিশুর ওপর তিনটি বিষয়েরই সমান প্রভাব পড়ে।

যে কারণে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

ইউএস চিল্ড্রেনস ব্যুর’র তথ্য মতে প্রায় তিন মিলিয়ন মার্কিন শিশু প্রতি বছর মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় তাদের অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্যদের দ্বারা।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।  



বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ