ঢাকা: মানসিক ভারসাম্যহীনদের (সিজোফ্রেনিয়া) সঙ্গে বসবাস ও আচরণের ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি, পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণের উপরও জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০১৪ উপলক্ষে ‘সিজোফ্রেনিয়ার সাথে বসবাস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ফর মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে ছয় হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। সামনে আরো দশ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। কিন্তু এতো কিছুর মধ্যেও সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আলাদাভাবে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এটি সত্যিই আমার ব্যর্থতা।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে জাতীয়ভাবে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে, সেখানে সবার মতামতের ভিত্তিতে মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত এক রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, তার ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বয়েজ স্কুলে লেখাপড়া করতো। বাংলাদেশে আসার পর স্কুলের কিছু সহপাঠী ও শিক্ষক তাকে নানাভাবে টিচ করতো। এরপর থেকে ধীরে ধীরে সে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, মানসিক রোগীদের জন্য সবার আগে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। এটা খুব জরুরি।
ব্লাইন্ড এডুকেশন অ্যান্ড রিপাবলিকেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. সাইদুল হক বলেন, অনেকক্ষেত্রে আমাদের দেশের চিকিৎসকরাই সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। তাই সবার আগে তাদেরকে এ বিষয়ে আরো জানতে হবে।
এ সময় তিনি জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধিদের জন্য আসন সংরক্ষিত করারও প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কামাল ইউ এ চৌধুরী, ইনোভেশন ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনিরা রহমান, ওয়েল ফেয়ার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বদরুল মান্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৪