ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

শাস্তিতে আচরণ বদলায় না

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪
শাস্তিতে আচরণ বদলায় না

ঢাকা: আচরণে পরিবর্তন আনতে প্রায়ই আমরা শিশুদের শাস্তি দিয়ে থাকি। অনেকেই চূড়ান্তভাবে মনে করেন এটাই একমাত্র পদ্ধতি শিশুর আচরণ পরিবর্তনের।



কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে? কিংবা প্রশ্ন উঠতে পারে শাস্তিতে কি আসলেই আচরণে পরিবর্তন আসে?

মজার বিষয় হলো মনোবিজ্ঞানীরা শস্তিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক।

ইতিবাচক শাস্তি বলতে বোঝানো হয়েছে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কথা বলছেন এসময় কোনো শিক্ষার্থী কথা বললে তাকে কিছু সময় চুপ করে থাকার শাস্তি দেওয়া।

নেতিবাচক শস্তি বলতে বোঝানো হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া।

মনোবিজ্ঞানের নির্দেশনা হলো, কোনো কারণে শাস্তি প্রদান করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই সংক্রান্ত আচরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা কমে আসে।

কখনও কখনও প্রাথমিক শাস্তি দেওয়া শেষে আচরণে পরিবর্তন না এলে আমরা ধারণা করি আটক করে রাখাই একমাত্র সমাধান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে জেল থেকে কোনো ব্যক্তি বের হয়ে আসার পরে অবাধে অপরাধ করতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শস্তির পরিবর্তে আচরণ নজরদারির মধ্যে নিয়ে এলে পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষত যদি প্রতি মুহূর্তের ভুল ধরিয়ে দেওয়া যায় তবে সংশোধন করা সম্ভব।

ভিন্ন মত প্রকাশ করে তারা বলছেন, গাড়ি চালানো সময় গতির বিষয়টি আমরা কিছু সময়ের জন্য ভুলে গেলেও আবার মনে পড়ে। এর কারণ এই ভুলের কারণে রাস্তার প্রতি মোড়ে মোড়ে শাস্তি পেতে হয়। তাই বলা যায় শাস্তিতেও আচরণের পরিবর্তন আনা সম্ভব, তবে সেটা সাময়িক। কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তির ভেতর পরিবর্তিত আচরণের কোনো উদাহরণ থাকে না। ফলে ওই ব্যক্তি শিখতে পারে না তার কেমন আচরণ করা উচিৎ।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক শতকরা ৭৫ ভাগ অভিভাবক মাঝে মাঝে তাদের সন্তানদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে থাকেন।

শারীরিক নির্যাতনের কারণে শিশুদের ভেতরে অসামাজিক, হিংস্র এবং কর্তব্যবিমুখ আচরণ দেখা যায়।

একইসঙ্গে শাস্তির এই প্রভাব দীর্ঘদিন এমন কী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরও থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।  



বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ