ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

মনোকথা

জানান আপনার সমস্যা ও মতামত

চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবন কাটানো সম্ভব

ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪
চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবন কাটানো সম্ভব

sir ami beyea korsi 2011 sale. 1 mas por onek kotha bolto, and akdom gomato na. tar por lab aid a dr shah alom sir k dekhalam .sir kiso medisin dilo, step by step akhon bosor derek qtepin 25 mg and litisan sr kheto 4/5 din age qtepin bondo kore diase. akhon sodo litisan khate bolse .akhono amar boy lage jodi abar amon hoy akhon akdom valo amak ki korte hobe valo rakhar jonoo and ami akhon baby nite chai

আপনার চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে, আপনার স্ত্রীর মানসিক রোগটির নাম ‘বাইপোলার অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার’। ভয় পাওয়ার বা ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।

কিছু নিয়ম কানুন ও চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চললে সম্পূর্ণ ভালো থাকা যায়।

এটি এমন একটি রোগ যা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আওতায় থাকলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন কাটানো সম্ভব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি শুরু থেকেই আপনার স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সবাই বিভিন্ন উপদেশ দিতে থাকে। মনে রাখতে হবে, উপদেশে কোনো রোগ সারে না। শারীরিক রোগ যেমন উপদেশে সারার নয়, তেমনি মানসিক রোগের ক্ষেত্রেও একই কথা মনে রাখতে হবে।

বাইপোলার অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ যা নাম দিয়ে চেনা যায়। ‘বাই’ শব্দের অর্থ ‘দুই’, আবার ‘পোলার’ মানে ‘মাথা’। অর্থাৎ এই রোগটির দুটি মাথা বা দুটি দিক থাকে। এক দিকে থাকে ডিপ্রেশন (বিষণ্নতা), যখন আক্রান্ত মানুষটি প্রচণ্ডভাবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়, মন খারাপ থাকে। অন্য দিকে থাকে ‘ম্যানিক কন্ডিশান’, অর্থাৎ মানুষটি তখন নিজেকে অনেক বড় মনে করতে থাকে, অনেক কথা বলে, যখন তখন ক্ষেপে যায়, সব কিছুতেই অতি চঞ্চলতা কাজ করতে থাকে। খাবার দরকার নাই, ঘুম দরকার নাই, যেন সমস্ত শক্তি ও ক্ষমতা এসে লোকটির উপর ভর করে। দুটি দিক থাকলেও রোগ মূলত একটিই, নাম ‘বাইপোলার অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার’।

সমস্ত উপসর্গ দূর হয়ে গেলেও এ রোগটি আর হবে না এটি বলা সম্ভব নয়। সুতরাং আপনারা চিকিৎসকের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। তবে সব সময় ওষুধ খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যেহেতু অনেক দিন যাবত ভালো আছে, তাই ওষুধ (লিথিয়াম) ধীরে ধীরে বন্ধ করে বাচ্চা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন। লিথিয়াম খাওয়া অবস্থায় বাচ্চা না নেওয়াই ভালো। বাচ্চা নেওয়ার প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
 
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।   

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন-[email protected]- এই ঠিকানায়।


ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ