ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

সঙ্গীতেই প্রকাশ পায় ব্যক্তিত্ব!

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
সঙ্গীতেই প্রকাশ পায় ব্যক্তিত্ব! ছবি: সংগৃহীত

আপনার পছন্দের সঙ্গীত কী আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়? সম্প্রতি গবেষকরা এমনই তথ্য উদঘাটন করেছেন। আপনি কি ধরনের সঙ্গীত শুনতে পছন্দ করেন তা থেকেই নির্দিষ্ট করা যায় কেমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী আপনি।



সঙ্গীত ভালবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে সত্যিই কম। মোবাইল ফোন কিংবা আইপডে ‍বাজতে থাকা আপনার পছন্দের গানের তালিকা দেখে আপন‍ার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আশ্চর্যজনকভাবে মোটা দাগে প্রায় পুরোপুরি বলে দেওয়া সম্ভব।

যুক্তরাজ্যের হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিশ্বের প্রতিটি দেশ থেকে ৩৬ হাজারের বেশি জনের ওপর একটি গবেষণা চালায়। তাদের পছন্দের সঙ্গীতের ধরনকে ১০৪টি ভাগ করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত আকারে পছন্দের ভিত্তিতে ব্যক্তিত্বের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কেমন হবে তা প্রকাশ করেন।

পপ
গবেষণার সময় প্রথমে এ ধরনের গান প্রেমীদের রিয়ান্না, সেলেনা গোমেজ এবং ফ্লোরিডা’র গান শুনতে দেওয়া হয়। দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই সঙ্গীপ্রিয়, সৎ এবং সামাজিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। একইসঙ্গে তারা কর্মঠ এবং নিজেকে সন্মান করেন। তবে তারা সৃজনশীল নন এবং অস্থির প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

র‌্যাপ এবং হিপ/হপ
এ ধরনের গানের শ্রোতারা সাধারণত আক্রমণাত্মক এবং হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকেন। তবে তারা নিজেদের সন্মান করেন এবং সমাজিক হয়ে থাকেন।

দেশাত্মবোধক
দেশাত্মবোধক গান যারা ভালবাসেন তারা চারিত্রিকভাবেই কর্মঠ, সামাজিক এবং সঙ্গীপ্রিয় হয়ে থাকেন। এর মূল কারণ দেশপ্রেম। তাদের আদর্শের কারণেই তারা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন।

রক এবং হেভি মেটাল
এ ধরনের সঙ্গীত সাধারণত বেপরোয়াভাবে উপস্থাপন করা হলেও শ্রোতারা একেবারে ভদ্র হয়ে থাকেন। তারা সৃজনশীল, তবে একা থাকতে ভালবাসেন এবং আত্ম-সন্মান বোধের অভাবে ভুগতে থাকেন।

ইনডি
রক সঙ্গীতের কাছাকাছি, অনেকটা রক’র বিকল্পও বলা যেতে পারে ইনডিকে। ১৯৮০’র দিকে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সঙ্গীতের প্রচলন শুরু হয়। ইনডি প্রেমিরা সাধারণত সঙ্গীপ্রিয়, বুদ্ধিজীবী এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন।

গবেষকদের মতে, তারা কম পরিশ্রম করতে ভালবাসেন এবং উগ্র হয়ে থাকেন। তাদের চরিত্রের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো তারা পরনির্ভশীল, অস্থির প্রকৃতির এবং আত্মসন্মান বোধের অভাবে থাকেন।

নাচ
যেসব মানুষ নাচ পছন্দ করেন তারা সাধারণত সঙ্গীপ্রিয় এবং  ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী হয়ে থাকেন।

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
এ ধরনের সঙ্গীত প্রেমিরা অনেক বেশি সঙ্গীপ্রিয় এবং স্বাধীনচেতা মনোভাবের হন। সৃজনশীল এবং আত্ম-সন্মানবোধও তাদের অনেক বেশি থাকে।

যাজ, ব্লুস এবং সোল
১৯ শতকের শেষ ভাগে এবং ২০ শতকের শুরুর দিকে উদ্ভবের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে যাজ’র জনপ্রিয়তা পেতে বেশি সময় লাগে নি। আর যাজ মিউজিক লুইস আর্মস্ট্রং’র ‘হোয়াট আ ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড’ গানটি শোনেন নি এমন মানুষের সংখ্যাও কম।

যাজ ও এর বর্ধিত অংশ ব্লু জ এবং সোল মিউজিকের শ্রোতাদের আত্ম-সন্মান বোধ অনেক বেশি। তারা যেমন সৃজনশীল, একইভাবে বুদ্ধিমানও বটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এড্রিয়ান নর্থ বলেন, সঙ্গীত পছন্দের ধরণ থেকে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া গেলেও আমরা এখনও বিস্তারিত জানতে পারি নি, ব্যক্তিত্ব এবং সঙ্গীত কিভাবে সম্পৃক্ত হলো।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ