ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

জানান আপনার সমস্যা ও মতামত

পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারে প্রয়োজন ধৈর্যধরে চিকিৎসা

ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৪
পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারে প্রয়োজন ধৈর্যধরে চিকিৎসা

আমি একজন ছাত্র এবং চাকরিজীরী। ঢাকায় একটা প্রইভেট ভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এ পড়াশুনা করছি, পাশাপাশি একটা সফটওয়্যার কোম্পানিতে জব করছি।



আমি আমার পারিবারিক সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। তাই কিছু সঠিক সমাধান এবং পরামর্শের এর আশায় এই লিখাটা। আশা করবো আপনাদের দেওয়া সমাধান হবে আমার পরিবার রক্ষার হাতিয়ার।

...

প্রথমেই বলে রাখছি, আপনার চিঠি বড়ো হওয়ায় চিঠিটি পুরোপুরি প্রকাশ করা গেলো না।  

চিঠি থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, আপনার পরিবারের ভেতরে যে সমস্যা চলছে তার মূল কারণ আপনার মা। মায়ের আচারণগত কিছু সমস্যা।

খুব সম্ভবত আপনার মা, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার বা ব্যক্তিত্ব জনিত সমস্যায় ভুগছেন।

আপনি ঠিকই বলেছেন, এ সমস্যার জন্য অনেক আগেই ডাক্তার বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করা উচিত ছিলো। তাহলে হয়তো সমস্যার প্রকোপ এতোদিনে অনেকখানি কমে আসতো। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্যরাও বুঝতে পারতেন আপনার মা এসব আচরণ আসলে ইচ্ছে করে করেন না। মনের অজান্তেই সবার সঙ্গে এমন আচরণ করে ফেলেন। এতে অন্যরাও তার প্রতি আরো একটু সহনশীল হতে পারতেন।

আপনার মাকে এসব বিষয়ে, অর্থাৎ মানসিক সমস্যার কথা বললে প্রথমেই হয়তো তিনি মেনে নিতে পারবেন না। ধীরে ধীরে বুঝিয়ে শুনিয়ে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে উনি যাকে বিশ্বাস করেন বা যার কথা শোনেন এমন কারো সাহায্য নিতে পারেন।

আপনি আরো একটা কথা উল্লেখ করেছেন, যখন তিনি ভালো থাকেন তখন তার কথাবার্তা শুনলে মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা তিনি। মায়ের এই ভালো থাকা মুহূর্তটিকে কাজে লাগান। তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে চিকিৎসার কথা বলুন।

আরেকটি কথা, তিনি ভালো থাকা অবস্থায় নিজেই বোঝেন, ‘সব দোষ আমার, কি করবো আমাকে মেরে ফেলো’। তখনই তাকে বলুন, মেরে ফেলা নয় বরং সঠিক চিকিৎসা হলে, তিনি নিজেও ভালো থাকবেন। অন্যরাও ভালো থাকতে পারবে। সেই সঙ্গে সবাই মিলেমিশে থাকার একটা পরিবেশও তৈরি হবে।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় অনেক সময় লাগে। ধৈর্যধরে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। সাইকোথেরাপি (কাউন্সিলিং) এর প্রধান চিকিৎসা, যা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিবারের অন্য সবার সহযোগিতা এক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ