ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

জানান আপনার সমস্যা ও মতামত

নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োজন, কিন্তু অতি নিয়ম সমস্যা

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৪
নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োজন, কিন্তু অতি নিয়ম সমস্যা ছবি: প্রতীকী

Dear Concern,

 

A very good morning to you. The problem I am going to share is related with me. Actually I am the problem. 

 

I can not control my anger and most of the time. I always like to live a systematic life which includes time management, On time work and sleep in time. Even I cannot resist when people break the law at the street and blame to other person.For an instance, yesterday I was driving my car to finish my task and  taking a bypass at to avoid traffic jam. But due to rickshaw I was stuck in to a round about. One of the rickshaw passenger is continuously blaming to the driver. She did not see that her rickshaw is in wrong side and overtaking and creating traffic jam. I asked her why you blaming us. She replied we are main the main reason of this jam. I relied why don't you stop for 5 minutes so that every one can pass with a piece of mind. She replied rudely, she was busy. C'mon!! I am much busier than you. I have to go to office. work 6 days a week till 12-13 hours. Don't do some bull shits with me. I am sorry if my word seems rude to you. That causes my anger in a higher level.

 

The incident happened a day ago but I still reminding that time and continuously mocking around. I hate to be unjustified. I was hurt by my girl friend at my old days and that the trauma I never forgot. I make an another world around me and start living it. I know it is a problem. I had been to a psychiatrist and take a full session with him. afterwords I was in a better shape. But the old problem always come and hit me. 

 

I need some solution. Please guide me. I do not want to show my identity. If you can, please reply me to the mail. Thanks in advance for your help.

 

[email protected]

 

আপনার মেইলের জন্য ধন্যবাদ। আর দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।

 

 

‘অবসেসিভ কম্পালসিভ পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার’ বা ‘ওসিপিডি’ বলতে একটা টার্ম আছে। এ বিষয়ে ইন্টারনেট ঘাটলে আরও ভালো করে জানতে পারেন।  

 

আপনি লিখেছেন, একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে একটা ফুল সেশন আপনি দিয়েছেন। কিন্তু এটা একটা সেশনের ব্যাপার নয়। আপনাকে আপনার অনেকগুলো আচরণ ও চিন্তার জগতকে পরিবর্তন করতে হতে পারে অথবা প্রয়োজনের সময় কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবেন সেটা জানতে ও শিখতে হতে পারে।  

 

মানুষ নিয়ম মানবে, মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক। নিয়ম শুধু নিয়ম নয়, নিয়ম মানা  হলো অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি পথ। আমি যখন কোনো একটা নিয়ম ভাঙছি অবধারিতভাবে, তখনই আমি অন্য কারো অধিকার নষ্ট করছি। চিন্তা বা কাজের জায়গায় তাকে ডিসটার্ব করছি।  

 

ব্যক্তিত্ব এবং ব্যক্তিত্বের গঠনের সাথে এসব মানা না মানার বিষয়গুলো অত্যন্ত জোড়ালোভাবে জড়িত হলেও- পারিবারিক পরিবেশ, পারিবারিক শিক্ষা, ছোটবেলার নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষাসহ স্কুলের একাডেমিক পরিবেশ এসবের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।  

 

আপনি যে গল্পটি লিখেছেন, আমি বেশ কয়েকবার মনোযোগ সহকারে পড়েছি। সেখানে খেয়াল করে দেখবেন, একজন তার নিজের সুবিধা আদায় করতে গিয়ে অন্য কতো মানুষের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। আমি নিশ্চিত, তার শিক্ষা বা জ্ঞানের ভেতর অন্যদের অধিকার সম্পর্কে বিন্দু পরিমাণ অনুভূতি বা অনুকম্পা বা শ্রদ্ধা তৈরি হয়নি।  

 

আমার জাপান ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিলো, সেখানে আমি একজন দেশি বন্ধুর সাথেই সারাদিন ঘোরাঘুরি করতাম। বিভিন্ন বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতাম বা শুনতাম। এক পর্যায়ে চলতে চলতে গল্প করতে করতে, আমাকে বললেন এখানে (ওসাকা, জাপান) মানুষের প্রধান ধর্ম হলো অন্যের ক্ষতি না করা। আমার কারণে অন্যের ক্ষতি হলো কিনা সেব্যাপারে তারা বেশ সচেতন।  

 

আমি তাদের সঙ্গে চলতে চলতে বিষয়টি বেশ লক্ষ করেছি। তারা এমনকি এস্কেলেটরে উপরে ওঠার সময় একসাইডে দাঁড়িয়ে থাকে। যদি কারো আরো তাড়া থাকে, যদি কেউ আরো তাড়াতাড়ি যেতে চায়।  

 

নিয়ম মানা মানে, অবশ্যই অন্যকে শ্রদ্ধা করা। আমরা যখন গাড়ি চালাই, যখন তখন যেভাবে সেভাবে গাড়ি ওভারটেক করি, ঢুকিয়ে দেই। একটুও ভাবিনা অন্য মানুষটিরও আমার থেকে জরুরি প্রয়োজন থাকতে পারে। তিনি হয়তো নিয়ম মেনে চালাচ্ছেন বা অন্য কারোর অসুবিধা না করার জন্য এভাবে চালাচ্ছেন।  

 

তারপরও বলবো, আপনি আপনার রাগ কন্ট্রোলের জন্য আরো কিছু সেশনের প্রস্তুতি নিন। নিয়মানুবর্তিতা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু অতি নিয়মও কিন্তু আবার সমস্যা করতে পারে। ওসিপিডিতে এই সমস্যা বেশি হয়। অতিরিক্ত নিয়মানুবর্তীতা (orderliness) বা পারফেকশনিজম যখন একজন মানুষকে পরিবেশের সাথে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তখন সেটা একটা রোগের পর্যায়েই ধরতে হবে। ওসিপিডি এর অর্ন্তভুক্ত মানুষগুলো নিজের সিদ্ধান্ত ও চিন্তার বিষয়গুলোর ওপর সব সময় স্থির থাকতে চায়। তার স্বভাবে একটু একরোখা (stubborn) হয়।  

 

ওসিপিডি চিকিৎসার জন্য আপনাকে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার মধ্যেই থাকতে হবে। একবার বা কিছুদিনের জন্য ওষুধ খেলেই আপনি ভালো হয়ে যাবেন, বিষয়টি এমন নয়। আশা করি আমাদের কথাগুলো আপনার কাজে লাগবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মনোকথা এর সর্বশেষ