ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটের-কথা

সিলেট-১

বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের চমক সুলতান মনসুর!

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের চমক সুলতান মনসুর! সুলতান মোহাম্মদ মনসুর

সিলেট: ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি সিলেট। আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত সিলেট-১ আসন নিয়ে মিথ প্রচলিত রয়েছে- মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন, সে দলই সরকার গঠন করে। স্বাধীনতার পরবর্তী নির্বাচনের ইতিহাসেও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোও এ আসনে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়ে থাকেন।

এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে অনেকের নাম উঠে এসেছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায়। বিএনপিরও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছে একাধিক জনের নাম।

কিন্তু হিসাব এখন পাল্টে দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফলে সিলেট-১ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থী কে হচ্ছেন? এ নিয়ে তুমুল আলোচনা সিলেটজুড়ে।

তবে নতুন জোটে যাওয়া বিএনপির নতুন চমক হিসেবে সিলেট-১ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নতুন করে আলোচনায় আসছেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী এ সংসদ সদস্য।
 
অবশ্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বাংলানিউজকে বলেছেন, সিলেট-১ আসনসহ তিনটি আসন তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বাকি দু’টি আসনের মধ্যে মৌলভীবাজার-২ আসন ছাড়াও রয়েছে ঢাকার একটি আসন। কিন্তু তাকে কোন আসনে দেওয়া হবে, এটা নির্ধারণ করবেন জোটের অন্য নেতারা।

মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ছিল বড় দুই দলের একাধিক নেতার। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ঘোষণায় আওয়ামী লীগের অনেকেই ভোটের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন।

ক্ষমতাসীন এ দলটির হয়ে দেশের মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেন সিলেটের কৃতি সন্তান, অর্থমন্ত্রীর সহোদর ড. এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন। এ তিন তারকাকে ঘিরে ছিল মানুষের কৌতুহল। যদিও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
 
অবশ্য তিন আমলার ভিড়ে একমাত্র রাজনীতি নেতা হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতাকে ‘ইউজলেস’ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী। পরে ড. মোমেনের সঙ্গে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকেও একজন ভালো প্রার্থী হিসেবে মূল্যায়ন করে সুনামগঞ্জের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ছহুল হোসেন ও ফরাস উদ্দিনের ব্যাপারে তিনি চুপ ছিলেন।
 
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হওয়ার পর আলোচনায় আসলেন আরো এক হেভিওয়েট প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। যদিও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খোন্দকার আবদুল মোক্তাদির।  

তবে দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবায়দা রহমান। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছের তিনি।

অন্যদিকে দলের নির্ভরশীল বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিনকেও ফিরিয়ে আনতে পারে দল।
 
এছাড়া জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দিলে স্বয়ং পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান দলের নেতারা। সব মিলিয়ে সিলেট-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ও ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন কে? এ নিয়ে নতুন হিসাব-নিকাশ এ অঞ্চলের ভোটের মাঠে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এনইউ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ভোটের-কথা এর সর্বশেষ