ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ভোটের-কথা

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সাধন চন্দ্র!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সাধন চন্দ্র! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সাধন চন্দ্র!

ঢাকা: দেশের সর্ব উত্তর-পশ্চিমের আসন নওগাঁ-১। সীমান্তবর্তী পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুর– তিন উপজেলার এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

নির্দ্বিধায় তাকে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ- এমন শক্ত সুর দলের ভেতরে এবং মাঠে-ঘাটে।

তার বিপরীতে বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত।

এর মধ্যে দু’ভাগের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী ও নতুন মুখ ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাসুদ রানা।

নওগাঁ-১ আসনের মানুষেরও তেমন কোনো অভিযোগ নেই বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি সাধন চন্দ্রের বিরুদ্ধে। ‍তারা বলছেন, উন্নয়নবঞ্চিত নির্বাচনী এলাকার যথাসাধ্য উন্নয়ন করেছেন এমপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম এমপি হন তিনি। তারপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গত ৯ বছরে নিজের দল গোছাতে পেরেছেন বেশ ভালোভাবেই।

এ আসনের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের দু’একজন বাদে বাকি সবাই এখন সাধন চন্দ্রের নিজ দলের লোক। এ সুবিধা কাজে লাগছে তার। আগামী নির্বাচনের ফিল্ড এখনই তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এ আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে নেই কোনো দ্বন্দ্বও।

এলাকার সঙ্গে এমপির নিবিড় যোগাযোগ- এটিও সকলেই স্বীকার করছেন একবাক্যে। আওয়ামী লীগে তার যে বিকল্প নেই-এটি বলছেন দলের নেতারাই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘এ আসনে বিজয়ের বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চিত প্রায়। এখানে দলই যথেষ্ট’।

সাধারণ মানুষেরও ভাষ্য, সাধন চন্দ্র বেশিরভাগ সময় কাটান তার নির্বাচনী এলাকায়। চলতি রমজানে তার আসনের সব ইউনিয়নের ইফতার মাহফিলে থাকবেন তিনি, যেমনটি হয়েছিলো গতবারও। এলাকার কেউ মারা গেলে সেখানে হাজির হয়ে সমবেদনা জানান।
উন্নয়নবঞ্চিত নির্বাচনী এলাকার যথাসাধ্য উন্নয়ন করেছেন এমপি
এমনকি বিএনপিরও নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এমপির বিরুদ্ধে। তবে পোরশা উপজেলা বিএনপির নেতা ওয়াব শাহ চৌধুরীর অভিযোগ, সাধন চন্দ্র তার বিরুদ্ধে ৩০টি রাজনৈতিক মামলা দিয়েছেন। আর এমপি হয়ে লাখ লাখ কোটি টাকা কামিয়েছেন’।

এই লাখ আর কোটি টাকা কোন জায়গা থেকে কিভাবে এসেছে- তার কোনো বিবরণ অবশ্য দিতে পারেননি এই বিএনপি নেতা।

তবে ওয়াব শাহ চৌধুরী দাবি করেন, নির্বাচন এলেই বিএনপির দিকে ঝুঁকবেন মানুষ।

জবাবে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘সাধন চন্দ্রের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অভিযোগ সত্য নয়। তবে যেহেতু তিনি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক, আবার সংসদ সদস্য- এ কারণে একটু অভিযোগ থাকবেই বিরোধীদের। সাধন চন্দ্র প্রচুর অর্থ দলের পেছনেই খরচ করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের নিয়েই থাকেন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত’।

‘আর দলের জন্য যা টাকা লাগে, তা এমপি নিজেই দেন হরহামেশা। যেমন- জেলা সদরে কোনো দলীয় অনুষ্ঠানে যেতে যতো ইউনিয়ন থেকে গাড়ি আসে, তার ভাড়া দেন। এছাড়া ইফতার মাহফিল হোক আর দলীয় কর্মসূচি হোক, সব ব্যয় বহন করেন’।

তবে বিএনপিতে এখনও প্রার্থী ঠিক নেই। সাবেক এমপি ডা. ছালেক চৌধুরী মাঠে এখন আর আগের মতো নেই। তার জায়গায় আসার চেষ্টা করছেন নতুন একজন। তিনি মাসুদ রানা, ছাত্রদলের সাবেক নেতা। মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।

তবে ডা. ছালেক চৌধুরী বিএনপির চেনা মুখ। তার ভোটও আছে অনেক। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটে হেরেছিলেন সাধন চন্দ্রের কাছে। সে হিসেবে আবারও মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তিনভাগে বিভক্ত বিএনপির মূল অংশটিও  তার সঙ্গে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ভোটের-কথা এর সর্বশেষ