ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুরে যে স্থানগুলো এড়িয়ে চলবেন প্রবাসীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
কুয়ালালামপুরে যে স্থানগুলো এড়িয়ে চলবেন প্রবাসীরা

ঢাকা: সরকারবিরোধী বার্সিহ ৠালিতে উত্তাল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর। শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হলুদ পোশাকে র‌্যালিসহ ৩৪ ঘণ্টার কর্মসূচি।



অপরদিকে আন্দোলনকারীদের এ র‌্যালি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শুরু করেছে ধরপাকড়। এ অবস্থায় মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের হলুদ রঙের যে কোনো পোশাক পরে বাইরে বের না হওয়া ও স্পর্শকাতর এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেত‍ারা।

দুপুর দেড়টা (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে এগারোটা) পর্যন্ত আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল দাতারান মারদেকার আশপাশের এলাকায় ২০ হাজার আন্দোলনকারী জড়ো হয়েছে বলে ধারণা করছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কুয়ালালামপুরের সোগো, পাসার সেনি, দাতারান মে ব্যাংক, মসজিদ নেগারা ও ব্রিকফিল্ড এলাকায় সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছে। বার্সিহ এ পাঁচটি এলাকা থেকেই দাতারান মারদেকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

বার্সিহকে প্রতিরোধ করতে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত থেকেই এসব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। ধড়পাকড়ও অব্যাহত। এ কারণে এসব এলাকায় প্রবাসীদের অকারণে বা কৌতূহলবশত ঘোরাফেরা না করার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, কুয়ালালামপুরের পেটালিং জায়ায় দুপুর দেড়টা নাগাদ দু’হাজার আন্দোলনকারী কর্মী জড়ো হয়েছে। দাতারান মারদেকার উত্তর পাশেও অবস্থান নিয়েছে সরকারবিরোধীরা। তবে মারদেকায় যেন তারা ঢুকতে না পারে সেজন্য দু’শতাধিক পুলিশ কড়া প্রহরায় রয়েছে।

মসজিদ নেগারায় জাড়ো হয়েছে প্রায় এক হাজার আন্দোলনকারী। ব্রিকফিল্ড থেকে কেএল সেন্ট্রাল পর্যন্ত এলাকায়ও রয়েছে প্রায় সমসংখ্যক।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল থেকে ৩০ জনের ওপর হলুদ টি-শার্ট পরা আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।

সেন্ট্রাল মার্কেট এলাকায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক আন্দোলনকারী। দাতারান মে ব্যাংক এলাকায় রয়েছে দু’হাজারের বেশি। এসব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও সরব।

জানা যায়, দাতারান মারদেকার ৩শ মিটারের মধ্যেই বাংলাদেশিদের কেন্দ্রস্থল কোতারায়া অবস্থিত। কোতারায়ার পশ্চিম পাশে মসজিদ নেগারা এলআরটি স্টেশন, পূর্বে সেন্ট্রাল মার্কেট, উত্তর পশ্চিমে মে ব্যাংক অবস্থিত। আর শনি ও রোববার ঘিরেই কোতারায়াতে লক্ষাধিক বাঙালির সমাবেশ ঘটে। এই দু’দিন মূলত বাঙালিদের জন্যেই জমজমাট থাকে এ এলাকা। হোটেল, রেস্তোরাঁ, রেমিট্যান্স হাউস ও মিনি মার্টগুলো থাকে বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখর।

কোতারায়া ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায়ও প্রবাসীদের আড্ডা জমে এদিন। তাই উৎসুক প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব এলাকা এই দু’দিন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫/আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ