ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

ঈদের খাবারের ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
ঈদের খাবারের ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে 

ঈদের খুশির অনেকটাই জুড়ে আছে রকমারি ভালো খাওয়া-দাওয়া। আমাদের দেশের কিছু খাবার আমাদের সবার বাড়িতে কম বেশি হয়।

কীভাবে খেলে খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর থাকবে আর ফ্যাট ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, চলুন জেনে নেই...
পোলাও/বিরিয়ানি-

সবার বাড়িতেই ঈদে পোলাও বা বিরিয়ানি করা হয়, আবার অনেকে দুটোই করে। বিরিয়ানির তুলনায় পোলাও করতে কম খাদ্য উপাদান লাগে, তাই বিরিয়ানির চেয়ে পোলাও এ তুলনামূলক ভাবে কম ক্যালরি হয়।

পোলাও তৈরিতে ঘি এর পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করলে ভাল। এছাড়া পেঁয়াজ বেরেস্তা, কিশমিশ, বাদাম পোলাও এর উপর না দিলে কিছুটা ক্যালরি কমে। এগুলোর পরিবর্তে সিদ্ধ ডিম, গাজর,  শসা বা জাফরান দিয়ে সাজালে অনেকটা হেলদি হয়। বিরিয়ানি করলে খাসি বা গরুর পরিবর্তে মুরগি বা সবজির বিরিয়ানি করা যায়।
রোস্ট-
মুরগি রোস্ট অনেকের বাড়িতেই করা হয় ঈদ মেন্যু হিসেবে। রোষ্ট একটু হেলদি করার জন্য খুব বড় মুরগির পরিবর্তে ছোট মুরগি নিলে ভাল। চার পিস না করে মুরগি ৮ পিস করলে ক্যালরি ও প্রোটিন দুটোই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোস্টে মাওয়া,  ঘি, কন্ডেন্সডমিল্ক,  সাদা চিনি বেশি ব্যবহার না করে টকদই, সিরকা, কিশমিশ, উদ্ভিজ্জ তেল, কাঁচামরিচ ব্যবহার করলে ভাল। স্বাদ কিছুটা কম হলেও ক্যালরি ও ফ্যাট  অনেক কমনো সম্ভব।  

কোরমা/রেজালা-
ঈদের অনেকের প্রিয় মেন্যু হল রেজালা বা কোরমা। ক্যালরি বিবেচনায় রেজালার চেয়ে কোরমা ভাল। কেননা কোরমা রান্না করতে মশলা ও অন্যান্য উপাদান কম লাগে। সাদা কোরমা যদি মুরগি বা মাছের হয় তবে তা খুবই হেলদি হয়। ঈদে অনেকেই শুধু মাংসের রেসিপি করে থাকে, কিন্তু ফ্যাট ও ক্যালরির কথা ভাবলে মাছ বা ডিমের  কোরমা করা যায়। সুঘ্রাণের জন্য গোলাপজল ব্যাবহার করা জেতে পারে।

টিকিয়া/কাবাব-
গরুর মাংস সবারই প্রিয়। ঈদ মেন্যুতে গরুর মাংস উপভোগ করতে চাইলে কাবাব বা টিকিয়া করা যেতে পারে। টিকিয়া করতে মাংসের সাথে সমপরিমাণ ডাল মিশিয়ে নিলে ফ্যাট অনেকাংশে কমে আসে। মাংসের কাবাব তৈরিতে কয়লা ব্যবহার না করাই ভাল। মাংসের পরিবর্তে মাছের কাবাব আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়।  

মিষ্টান্ন-
ঘরে তৈরি যেকোনো মিষ্টান্ন স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ক্যালরি ও ফ্যাট বিবেচনায় একটু সাবধানতা অবশ্যই নেয়া ভালো। যেমন ফিরনি সাদা চিনি দিয়ে না করে গুড় দিয়ে করা ভালো। আবার ফিরনি বা দুধ সেমাই, যেকোনো একটি করা যায়। চালের জর্দায় ঘি না দিয়ে উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে তৈরি করতে পারেন। মাওয়া, ঘন দুধ,  মোরোব্বা না দিয়ে কমলার খোসা, আঙুর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলে কিছুটা ক্যালরি কমে। দই হতে পারে সবচেয়ে ভাল মিষ্টান্ন।  

পুষ্টিকে মাথায় রেখে তৈরি করুন ঈদ মেন্যু,  যা আপনাকে আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।