ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

সারাক্ষণ ফোনে চোখ, শিং গজাচ্ছে মাথার পেছনে!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
সারাক্ষণ ফোনে চোখ, শিং গজাচ্ছে মাথার পেছনে! সারাক্ষণ ফোনে চোখ

সারাক্ষণ ফোনে চোখ, শিং গজাচ্ছে মাথার পেছনে! শিরোনাম দেখেই ভয় পেয়ে গেলেন তো? ভয়েরই কথা। কারণ অনেকেই জেগে থাকার প্রায় পুরোটা সময়ই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি। 

আর এতে করে নানা ধরনের শরীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যার মধ্যে মাথার পেছনে ছোট শিং-ও গজাতে পারে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সানশাইন কোস্টের(ইইউএসসি) গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছে।  

আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,  ইউএসসি-র গবেষকরা দু’দফায় এই পরীক্ষা চালিয়েছেন।  

প্রথম দফায় কেবল লাম্পের অস্তিত্ব মিললেও তার বিস্তারিত কারণ বোঝার জন্যই পরের দফার সাহায্য নেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমে অত্যন্ত বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন এবং ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বয়স— এমন ২১৮ জনকে নিয়ে চলে পরীক্ষা।  

এক্সরে করা হলে প্রায় ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রেই উঁচু হয়ে ওঠা হাড়ের অংশের সন্ধান পাওয়া যায়। করোটির পেছনে তৈরি হওয়া এই লাম্পের উচ্চতা এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। এর গ্রোথ মোটামুটি এক থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।  

দ্বিতীয় দফার ১৮-৮৬ বছর বয়সি প্রায় ১২০০ জনের ওপর চলে পরীক্ষা। সেখানে ফলাফল তো বদলায়ই না, উল্টো দেখা যায়, এবার কয়েক জনের শরীরে এই হাড়ের উচ্চতা আরও বেশি। এর পরেই করোটির অস্থি, মাথার পেছনের পেশি ও ঘাড়ের স্নায়ুগুলোর ওপর নানা পরীক্ষা চালানোয় ‘ভিলেন’ হিসেবে উঠে আসে মোবাইল ফোন।  


এই প্রসঙ্গে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সমর চৌধুরীর মতে, মোবাইল ব্যবহারে এখনও সচেতন না হলে এর চেয়ে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। মাইগ্রেন, চোখের সমস্যা, মাথা ধরা, মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন সবই কিন্তু কমবেশি এই ধরনের প্রযুক্তিগত কারণেও হয়।  

যদিও পড়াশোনা, সবার সঙ্গে যোগাযোগ, অফিসের কাজ সবই হচ্ছে ছোট এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই। তবুও সুস্থ থাকতে কাজের বাইরে মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।  


বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।