ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ইচ্ছেমতো ভ্রমণ করতে নারীকে স্বাবলম্বী হতে হবে: রাকা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
ইচ্ছেমতো ভ্রমণ করতে নারীকে স্বাবলম্বী হতে হবে: রাকা  হানিয়াম মারিয়া রাকা

হানিয়াম মারিয়া রাকা, ট্রাভেলিং শুরু ২০০৬ সাল থেকে একটি এয়ারলাইন্সে কাজ করার সুবাদে। কাজের সূত্রে বা ট্রেনিং এ ঘুরেছেন বহু জায়গা। ঝিরিপথ ধরে হেঁটে বেড়িয়েছেন বান্দরবানের গহীনে। অ্যাডভেঞ্চার ট্রেকিং শুরু করেন ২০১৪ সালে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের মাধ্যমে। ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশ।

দেশের পর্যটনকে তুলে ধরতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, কিন্তু নারীরা সেভাবে কোথাও বেরিয়ে পড়ছেন কি, একাই ঘুরে আসতে? রাকার ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হলো নারী দিবসের এই বিশেষ আয়োজনে।

রাকার ঘোরাঘুরির শখ সেই ছোটবেলা থেকেই।

স্বচ্ছ জলরাশি সবচেয়ে বেশি টানতো রাকাকে। সে ইচ্ছা থেকেই সেন্টমার্টিনে প্রশিক্ষণ নেন স্কুবা ডাইভিং এর।

জার্মানির ডিআইএ থেকে অর্জন করেন বাংলাদেশের প্রথম প্রশিক্ষিত নারী সার্টিফাইড স্কুবা ডাইভিং সার্টিফিকেট। ২০১৫ সালের এপ্রিলে কায়াকিং এর কোর্স করেন নেপালের পাহাড়ি নদী কালিগান্দাকিতে। বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে চালিয়েছেন নিজেদের কায়াক।

সম্প্রতি রাকা কায়াকিং করে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন কায়াক সঙ্গী সায়মন হোসেনকে নিয়ে।

এর আগে ২০১৮ এর নভেম্বরে কায়াকিং এর জন্য টেকনাফ যান। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির থাকায় সেবার সফল হতে পারেননি।  

অবশেষে ২০১৯ এর ১৫ জানুয়ারি তার স্বপ্ন পূরণ হয়। মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিটে কায়াক করে সেন্টমার্টিন পৌঁছান তারা। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকাম থেকে সকাল ৮:৪৩ মিনিটে শুরু করেন কায়াক যাত্রা। ১৪.৭৫ কিমি পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছান সকাল ১১:৩৫ মিনিটে।

রাকার মতে মানুষ ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু ঘুরে বেড়ানোর নামে মানুষ দেশ নোংরা করছে। সারাবিশ্বে ভ্রমণের কিছু নিয়ম রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত আমরা ব্যক্তিগতভাবে এই শিল্পের ব্যাপারে শিক্ষিত না হবো রাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগই আসলে কাজে আসবে না।

হানিয়াম মারিয়া রাকা

নারীদের ট্রাভেলিং এর ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দেন রাকা। শরীরচর্চা করে শারীরিক ভাবেও ফিট থাকার কথা বলেন তিনি। যতটুকু ব্যাকপ্যাক সে বহন করতে পারবে ততটুকু জিনিসই যেন সে নিয়ে যায়। সে যেন অন্য সফর সঙ্গীর বোঝা না হয় সেই ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন রাকা।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে রাকা বলেন,‘একটা ব্যাকপ্যাক ও আরামদায়ক জুতা পুরো ট্রাভেলিং অভিজ্ঞতাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে’।

পারিবারিক বা সামাজিক বাধা ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবারই সম্মুখীন হতে হয় বলে মনে করেন তিনি। শুধু সমস্যা নিয়ে আলোচনা না করে সমাধান খুজে বের করাকে বেশি প্রাধান্য দেন রাকা। নারী স্বাধীনতা বা নারী দিবস আলাদা করে পালন করার পক্ষপাতী নন তিনি।

সবশেষে রাকা বলেন, ‘তবে নারীদেরকে আমি শুধু এটাই বলবো, এই জগত অনেক বড়। আমাদের অনেক কিছু করার আছে এখানে। আমাদের জীবনের কোনো স্বপ্নই যেন আমরা অপূর্ণ না রাখি। জীবনটা যাতে আমরা আরও গুছিয়ে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাই। তাহলে কোনো বাধাই আমাদের কাছে বাধা মনে হবে না’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এসআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।