ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

মালয়েশিয়ায়ও কদর  বাংলা খাবারের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
মালয়েশিয়ায়ও কদর  বাংলা খাবারের বাংলা রেস্টুরেন্ট

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) থেকে:  দেশের বাইরে বিশেষ করে লন্ডনে বাঙালি রন্ধনশৈলীর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। সেখানে বাংলা রেস্টুরেন্ট একটি শিল্প। 

এখন বাংলা রেসিপি শুধু লন্ডনে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও বাংলাদেশিরা সেই শিল্পের রূপ দিচ্ছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়ায়ও রয়েছে শতাধিক বাংলা রেস্টুরেন্ট।

পর্যটকদের কাছেও বাংলা রেসিপির বেশ কদর। বাঙালির রান্না ঘরের ডাল, ভাত, মাছ, শাকের মতো খাবারগুলো সুনাম কুড়িয়েছে মালয়েশিয়দের কাছেও।  

প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশটির প্রধান শহর কুয়ালালামপুরসহ অন্য বড় শহরেও রয়েছে বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট। প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে বাঙালি রন্ধন শিল্পীরা বাংলা রেস্তোরাঁয় নয়, চায়নিজ, ইতালিয়ান, মেস্কিকান ও ইউরোপিয় রেস্তোরাঁয় শেফ হিসেবে কাজ করছেন।  

প্রবাসীরা শুধু ব্যবসা নয়, সেখানে বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে চলছেন। রেস্টুরেন্টের কর্মীরাও সবাই বাংলাদেশি। ফলে বিদেশের মাটিতেও সুনাম কুড়াচ্ছেন প্রবাসী উদ্যোক্তারা।  

দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে রয়েছে বহু বাংলা রেস্টুরেন্ট। সেখানকার জালান এমবি এলাকায় ১০ বছর ধরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করছেন গাজীপুরের পিয়ার অাহমদ অাকাশ। রসনা বিলাস নামের এই রেস্টুরেন্ট মূলত পরিচালনা করেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুধু বাংলাদেশিরাই খাবার খান না, ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বহু দেশের পর্যটকরাও অামাদের হোটেলে বাংলা খাবার পছন্দ করে খান। অনেক পর্যটকের কাছে বাংলা খাবার প্রিয় নাম।  

রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, রসনা বিলাস রেস্টুরেন্টে ২৪ জন বাংলাদেশি কাজ করেন।  

অষ্ট্রিয়া থেকে বেড়াতে আসা মার্সিয়া বলেন, মালয়েশিয়ায় যতবারই ঘুরতে অাসেন, ততবারই তিনি বাংলা খাবারের স্বাদ নিতে বাঙালি রেস্টুরেন্টে যান।  

ভিয়েতনামের পাম থি ভিনহও পছন্দ করেন বাংলা খাবার।  
জালান এমবি এলাকায় অারেকটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট অ্যাপায়ন। রেস্টুরেন্টটির মালিক প্রবাসী বাংলাদেশি অাশিষ কুমার সরকার। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করে ২০১৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় অাসেন মালয়েশিয়ায়। ইউনিভার্সিটি অব মালয় থেকে এমএসসি করে জালানএমবি এলাকায় নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ানরা বাসায় খাবার কম খায়। হালাল খাবার হওয়ায় বাংলা খাবারের চাহিদা অনেক। তাই বাংলা রেস্টুরেন্টের সংখ্যাও বাড়ছে।  

কাম্পুন সেলামাতের চুইঙ্গা বুলুতে বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট চালিয়ে বেশ নাম পেয়েছেন ফেনীর এসএম অাকরাম।  

প্রবাসী বাংলাদেশি মো: সোহেল বলেন, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রম বাজারে অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষতা না থাকায় কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশিরা।  

বাংলাদেশ সময় : ১৭২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
টিএম/ এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।