ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

নিজের দিকেও তাকান

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৮
নিজের দিকেও তাকান কর্মজীবী নারী

কর্মজীবী নারীদের সারাদিন ঘরে-বাইরে কর্মব্যস্ত জীবনের পরে শরীর ও মনের ওপরে যে চাপ পড়ে তা কাটানোর জন্য নিয়মিত ঘুম ও খাওয়া প্রয়োজন। 

বেশিরভাগ সময়েই কর্মজীবী নারীরা সময়ের অভাবে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে পারে না যা তাদের পরবর্তী স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । কাজের চাপ ও অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে অনেক নারীই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

সুস্থ জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি উপাদান। নারীদের বিভিন্ন বয়সে পুষ্টি চাহিদা বিভিন্ন হয়। তাই প্রতিটি কর্মজীবী নারীকে প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে।

সঠিক পুষ্টি উপাদান যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যালার্জি, আর মাথাব্যথার মতো রোগকে দূরে ঠেলে দেয় তেমনি সুন্দর চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্য উপহার দেয়।
 
যা খাবেন:

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে । পানির মাধ্যমেই অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দূষিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়।  

 সারাদিনে অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন চা, কফি, চকোলেট খাওয়া ঠিক নয়।  
সকালের নাশতা কখনও বাদ দেয়া যাবেনা।  
সকালের নাশতা খুব বেশি ভারিও নয়, এতে হজমের জন্য শরীরে প্রচুর শক্তির অপচয় হয়। ফলে ঝিমুনি ও দুর্বল বোধ হয়।

সকালের নাশতায় যেকোনো একটি ফল খাওয়া যেতে পারে। ফল হজমশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করে যা সারাদিন মানুষকে কর্মক্ষম রাখে।
খাবারের তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটির পরিমাণ কম রেখে শাকসবজি ও সালাদের পরিমাণ বেশি রাখতে হবে।

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার থাকতে হবে। আমিষের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডাল, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম। যারা নিরামিষভোজী তারা আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য কয়েক প্রকারের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।

প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আঁশযুক্ত খাবার হচ্ছে তাজা ফলমূল, শাকসবজি, লাল চাল ও লাল আটা।  
খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া খাবার একেবারেই নয়।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের খুব ভালো উৎস হল দুধ ও শাকসবজি।
রাতের খাবার হবে খুব হালকা।  
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে।
সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট যে কোনো হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করার অভ্যাস করতে হবে।  

এতেই নারী থাকবে ফিট, আর সুস্থ থেকে সবার দেখভালও করতে পারবেন খুশি মনে।  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।