ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

স্বপ্নকে যারা বাস্তব রূপ দিয়েছেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
স্বপ্নকে যারা বাস্তব রূপ দিয়েছেন

আজকাল প্রায় সবাই চিন্তা করে যদি অনলাইনে কিছু আর করা যেত? কিন্তু আসলে যারা কাজ করছেন, তাদের চলার পথটি শুরুতে কেমন ছিলো, তার জানা না থাকায় এবং সঠিক গাইডের অভাবে অনেকেরই সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।  

আসুন জানি কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণের গল্প, যারা আজ স্বপ্নকে অনেকটাই বাস্তব রূপ দিতে পরেছেন।

 

সবাই তরুণ। চোখে মুখে রাজ্যের স্বপ্ন। ওদের স্বপ্ন আর সবার মতো না। প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উৎকর্ষতার সময়ে ওরা স্বপ্ন দেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কোন পথে এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে- এমন প্রশ্নের সোজা-সাপ্টা উত্তর, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের দিক থেকে বাংলাদেশকে বিশ্বমানের করতে চাই। সে লক্ষ্য থেকেই এ স্বপ্নবাজরা গড়ে তুলেছে সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘সফটপাইডার’।  

শুরুর গল্পটা সাদামাটা। পাভেল, অমৃত, রাজীব, স্বজল, বাপ্পিসহ কয়েকজন এক হয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ভাবনায় মগ্ন হয়। উদ্যোগটা আসে লিমন চন্দ্র প্রদীপের কাছ থেকেই। ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটে গত বছরের শেষের দিকে। এ বছর থেকেই পুরোদমে পথ চলতে শুরু করে সফটপাইডার।  

সফটপাইডারের প্রধান কাজ অ্যাপস তৈরি করা। সাধারণত ওয়েব সাইট, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভিত্তিক অ্যাপস তারা তৈরি করে থাকেন। তারা জানায়, অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইওএস নির্ভর স্মার্ট ডিভাইসগুলোতে যে  গেম খেলা হয়, সেগুলো এক ধরনের অ্যাপস। ইতোমধ্যে এ ধরণের কয়েকটি অ্যাপস তৈরি করে তারা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্তমানে একটি অ্যান্ড্রয়েড গেম নির্মাণের কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।  
 
ইতোমধ্যে সফটপাইডার কাজ করেছে দেশের বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সফটপাইডারের নিজেদের ডেভেলপ করা একটি সিমএসও (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও লিমন চন্দ্র প্রদীপ বলেন, আমাদের সিএমএসটি অনেক বেশি ফিচার সমৃদ্ধ এবং ইউসার ফ্রেন্ডলি। ফলে এটি ব্যবহার করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

নিজেদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হাসান আল মামুন বলেন, দুইটি এনড্রয়েড গেম ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রথম গেমটি রিলিজ দেয়ার ইচ্ছা।  

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের এপ্লিকেশনগুলোকে নিয়মিত আপডেট করার চেষ্টা করি যেন আমাদের ক্লায়েন্টরা সর্বদা সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকে এবং বেস্ট সার্ভিস পায়।


শুরু করতে গিয়ে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সফটপাইডারকে। শুরুর গল্প জানাতে গিয়ে অ্যাসোসিয়েট ডেভেলপার লিয়ন চন্দ্র রাজীব  বলেন,আমরা শুরু করেছিলাম খুবই সমান্য বিনিয়োগ নিয়ে। প্রথম অফিস নেয়ার পরে  অফিস ভাড়া, অ্যাডভান্স, চেয়ার-টেবিল কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার কম্পিউটার কেনার টাকাই নেই আমাদের হাতে। মাত্র পড়াশোনা শেষ করেছি, আমাদের গা থেকে তখনো ছাত্রত্বের গন্ধ যায়নি এবং পেশাদারিত্ব আসেনি। বাধ্য হয়ে সবাই সবার বাসা থেকে যার যার ল্যাপটপ নিয়ে এসে কাজ শুরু করেছি। সময়ের স্বল্প ব্যবধানে এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানে লাখ টাকা দামেরও কম্পিউটার স্থাপন করতে পেরেছি।

স্বাপ্নিক এই তরুণদের স্বপ্ন বিশ্বকাতারে নিজেদের নিয়ে যাওয়া।  বিশ্বের সেরা সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাতারে দেখতে চান নিজেদের। গুগল অথবা মাইক্রোসফটের মতো তাদেরকেও যাতে সারাবিশ্ব একনামে চেনে, সে স্বপ্নই তারা এখন দেখছেন। পাশাপাশি ইউবিসফট, ভালবা, ইএ স্পোর্টস কিংবা ব্লিজার্ড অ্যান্টারটেইনের মতো বিশ্বমানের গেম স্টুডিও করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

প্রদীপের নেতৃত্বে সফটপাইডারে এখন রয়েছেন দিশা, তন্ময়, লিয়ন, শাহরিয়ার, প্রিয়াঙ্কা, রিপা ও ওমর। নিজেদের স্বপ্নগুলো মুঠোয় পুরে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর তরুণদের এই দল। কথার ছলেই মুখ থেকে তাদের বেরিয়ে আসে, সেইদিন আর বেশি দূরে নয়…

নতুন যারা অনলাইনে কাজ করার কথা ভাবছেন তারা চাইলে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৭২৫৯৯৫১৭৬


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।