ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

সুন্দর হাসিতে ভুলবে সবাই

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
সুন্দর হাসিতে ভুলবে সবাই ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সুন্দর মুখের জয় সব জায়গায়। আর আমাদের সৌন্দর্যের কথা এলেই প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সুন্দর হাসির ছবি।

এজন্য চাই দুপাটি সুগঠিত দন্তরাশি। ভূবন ভোলানো হাসি সত্যিকার অর্থেই মোহনীয় সৌন্দর্য। মুখের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ  দাঁত।

কিন্তু এই দাঁতের জন্যেই অনেকে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন না। দাঁতের সমস্যার বিষয় নিয়ে কথা হয় ডেন্টিস্ট অধ্যাপক ডঃ অরুপ রতন চৌধুরীর সাথে।

দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, দাঁতের ফাঁক জনিত চিকিৎসা তিন ভাবে করা যায়।

বিশেষ করে সামনের পাটির ওপর ও নিচের দুটি দাঁতের ফাঁকা, অসমান এবড়ো থেবড়ো দাঁত মানুষকে হীনমন্যতায় ভুগিয়ে থাকে। হাসার সময় আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। অনেক কারণে দাঁতের মধ্যবর্তী স্থান ফাঁক হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

দন্তক্ষয় রোগে আক্রান্ত, দাঁতে প্রদাহ জনিত কারণে, নিয়মিত ওষুধ সেবনের পার্শ¦প্রতিক্রিয়ায় মাড়ি ফুলে গিয়ে থাকলে, কখনও দাঁতে আঘাত লাগলে ধীরে ধীরে দাঁতের গোড়ায় পুঁজ জমে, ডায়াবেটিসের কারণে মাড়িতে ঘন ঘন প্রদাহ এসব নানা কারণে দাঁত মাড়ি থেকে সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে তা হলো, অনেকের ওপরের পাটির দুটি দাঁতের মাঝে ফ্রেনাম নামক টিস্যু বাড়তি অবস্থায় থাকে সেটি একসময় দুই দাঁতকে সরিয়ে মাঝে ঢুকে পড়ে ফলে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়।

মুখের সৌন্দর্য হানিকর এই বিষয় নিয়ে দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, দাঁতের ফাঁক জনিত চিকিৎসা তিন ভাবে করা যায়।

বন্ডিং: এই পদ্ধতিতে প্রথমে এক্সরের মাধ্যমে দাঁতের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। যদি দাঁতের গোড়ায় কোন প্রদাহ বা পুঁজ না থাকে এবং ফাঁকা ৩/৪ মি.মি এ বেশি না হয় তবে ডেন্টাল ফিলিং এর মাধ্যমে দাঁতের  রঙের এর সাথে মিলিয়ে ফিলিং করে দেয়া হয়। এতে করে ফাঁকা দাঁতের উপস্থিতি বোঝা যায় না।

পরসেলিন ক্রাউন: পরসেলিন ক্রাউন এক ধরনের ক্যাপ। অনেক সময় দুই দাঁতের মধ্যবর্তী ফাঁকা ৪/৫ মি.মি এর বেশি হয় তখন পরসেলিন ক্রাউন বা মুকুট পরে নিলে ফাঁকা অংশটুকু ভরাট হয়ে যায়।

অর্থডনটিক চিকিৎসা: একটি বা দুটি দাঁত যদি তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উঁচুতে নিচুতে বা দুরে থাকে তখন অর্থডনটিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ মত আপনার দাঁত ঝকঝকে আর সুস্থ রাখতে:

•    প্রতিদিন নিয়মিত দু’বার ব্রাশ করতে হবে
•    পান, সিগারেটের অভ্যাস থাকলে কিন্তু দাঁত ঝকঝকে সাদা হবে না
•    চা, কোমল পানীয় পানেও সতর্ক থাকেতে হবে। কেননা, এসবেও দাঁতে দাগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে
•    ৮ সপ্তাহ পরপর টুথব্রাশ বদলে নিন
•    অনেক দিন ধরে এক ব্রাশ ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে
•    দাঁত সাদা করতে সপ্তাহে একবার পেস্টের সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন
•    টুথপেস্টের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করুন দাঁতের দাগ হালকা হবে
•    ভালো ব্র্যান্ডের মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করতে হবে
•    সপ্তাহে একবার গরম পানিতে ব্রাশ ধুয়ে নিন
•    ব্রাশ কখনোই ঢাকনা যুক্ত স্ট্যান্ডে রাখা ঠিক নয়, এতে করে ব্রাশে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে
•    নিয়মিত গ্রিন টি, দুধ, দই, পনির, ডিম, মাছ, মাংস, বিশেষ করে মাংসের হাড়, আপেল, স্ট্রবেরি, লেবু, পেঁয়াজ, শশা, আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকলে দাঁত সুস্থ ও মজবুত হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।  

বছরে অন্তত দু’বার দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করিয়ে নিন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।